লক্ষ্মীপুর-৪
আওয়ামী জোটে শঙ্কা, আসন পুনরুদ্ধারে একাট্টা বিএনপি
রামগতি ও কমলনগর উপজেলা নিয়ে লক্ষ্মীপুর-৪ আসন। উপকূলীয় এই এলাকাটি বিভিন্ন সময়ে ছিল দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা- গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ণ ও নদীরক্ষা বাঁধসহ নানান উন্নয়ন কাজ করেছেন। জোটে দূরত্ব, দলে বিভাজন, অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ প্রভৃতি কারণে সেই উন্নয়নের সুফল ঘরে তুলতে পারেনি ক্ষমতাসীনরা। অন্যদিকে আন্দোলনের মুডে থাকা বিএনপি আছে ফুরফুরে মেজাজে। জোট বা দল যাই হোক, নির্বাচনে অংশ নিলেই নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করাতে একাট্টা।
স্বাধীনতার পর এই আসনটিতে একবারই আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছেন। বাকি সময় আওয়ামী লীগবিরোধীরাই জয়ী নানান মোড়কে। ১৯৯১ সালে বিএনপির আব্দুর রব চৌধুরী, ১৯৯৬ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আ স ম আবদুর রব, পরের দুই নির্বাচনে বিএনপির এ বি এম আশরাফ উদ্দিন জয়ী হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটির ভাগ্যে কী আছে? স্থানীয় ভোটার বা দলীয় নেতারাও বলতে পারছেন না। তারা বলছেন, এখানে কারা পরবে জয়ের মুকুট, নির্ভর করবে মনোনয়নের ওপর।
আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল মামুনকে মনোনয়ন দিলে হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসনটি ধরে রাখতে পারবেন। কারণ আবদুল্লাহ ব্যবসায়ী হলেও এমপি হয়ে কিছু কাজ করেছেন, মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তৈরি হয়েছে। নেতাকর্মীরাও তার কাছে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। এছাড়া ক্ষমতাসীনদের জয়ের সম্ভাবনা কম।
এমন পরিস্থিতি কেন? জানতে উপজেলা দুটি ঘুরে আরও নেতিবাচক তথ্য মিলেছে। স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন এখানকার নেতৃত্বে ছিল আওয়ামীবিরোধীরা। ২০১৪ সালে বিএনপির ভোট বর্জনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন নৌকা প্রতীকে জয় পান। পাঁচ বছরে এলাকাটিতে সংগঠন গুছিয়েছেন তিনি। জনসমর্থন আদায়েও ভালো কাজ করছেন। কিন্তু ২০১৮ সালে আসনটি জোটকে ছেড়ে দেওয়ায় কিছুটা এলাকাবিমুখ হন ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ। সাংগঠনিকভাবেও ছন্দপতন হয় আওয়ামী শিবিরে। এই মুহূর্তে আসনটিতে অভিভাবকশূন্য আওয়ামী লীগ। জোট থেকে মনোনীত বর্তমান এমপি মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এলাকায় আসেন না। তার দল বিকল্প ধারার এলাকায় কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমও নেই। আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক প্রার্থী থাকায় তারা আলাদা গ্রুপ মেনটেইন করেন।
‘এমপি উড়ে এসে উড়ে যান’
রামগতি উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির (বিআরডিবি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোয়াইব হোসেন খন্দকার বলেন, ‘এমপি সাহেব কালেভদ্রে এলাকায় আসেন। কিন্তু উড়ে এসে উড়ে যান। আমরা তাকে পাই না।’
বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রোগ্রাম থাকলে এমপি সাহেব আসেন। জেলা ও উপজেলায় মাসিক আইন-শৃঙ্খলা এবং সমন্বয় সভায় আসেন না। সম্প্রতি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এমপিও ছিলেন। প্রোগ্রামের দিন সকালে হেলিকপ্টারে আসেন। হেলিকপ্টার থেকে নেমে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে সরাসরি প্রোগ্রামে গেছেন, প্রোগ্রাম শেষ করে একইভাবে হেলিকপ্টারেই ফিরে গেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মী বা ভোটারদের সঙ্গে তার দেখা-সাক্ষাৎ বা কথোপকথনের সুযোগ হয়নি। এভাবেই তিনি উড়ে এসে উড়ে চলে যান। স্থানীয়দের সঙ্গে তেমন কথা বলতে চান না।
নির্বাচনী এলাকার চর সীতা ইউনিয়নের জমিরহাটে চায়ের আড্ডায় কথা হয় কৃষক আলাউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এমপি নিজের দরকারে আসেন। মানুষের দরকারে তাকে পাওয়া যায় না। এবার ৩০ শতাংশ ভোটও পাবেন না।
নুরুল আমিন নামে একজন বলেন, ‘এখনকার নেতা যেমন আমরা মানুষও তেমন। আই (আমি) ভাষণ দিবো, হুনমু (শুনবো)। ভোট দেওয়ার সময় কারবার করি দিমু (দেবো)।’
আওয়ামী লীগেও বিভক্তি
জোট মনোনীত এমপির এলাকায় অনুপস্থিতি, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার পাশাপাশি এখানকার আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে আছে বিভক্তি। অনেকেই চান মনোনয়ন। সেজন্য মেনটেইন করেন আলাদা গ্রুপ। গ্রুপ ঠিক রাখতে গিয়ে দল ঠিক হয়নি দীর্ঘদিন। যে কারণে এলাকায় নির্বাচনী আমেজ নেই। ভোটের মাঠেও আওয়ামী লীগের তৎপরতা চোখে পড়েনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আমরা তাকিয়ে আছি নেত্রী কাকে মনোনয়ন দেন, সেদিকে। জোট ছেড়ে দিলে তার (আবদুল মান্নান) পক্ষে দলীয় কারণে নামতে হবে ঠিক, কিন্তু জনরোষে পড়তে হবে।
সম্প্রতি রামগতি ও কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শীর্ষপদের নেতৃত্ব নিয়েও রয়েছে মান-অভিমান, অসন্তোষ। যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর কার্যক্রম অনেকটা লোক দেখানো। নিজেদের মধ্যে প্রভাব-আধিপত্য নিয়ে রেষারেষিও প্রকট। প্রকাশ্যে-গোপনে একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন। দলের সক্রিয় প্রার্থীদের পক্ষেও ঐক্যবদ্ধ নেই স্থানীয় নেতারা। গ্রুপ, সাব-গ্রুপে বিভক্ত। প্রকাশ্যে এক গ্রুপ অন্য নেতার পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলেন। যে যার অনুসারী, তার নেতা থাকলে দল ভালো থাকবে, না হয় দল ডুবে যাবে— এমন বক্তব্যই দিয়ে বেড়ান। দলের ইতিবাচক সাফল্য কেউ জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারছে না। সরকারি বরাদ্দ জনগণের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। এসব কারণে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের সুফল আসছে না।
কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, ২০২৪ সালে যদি জোট থেকে বর্তমান এমপি আবদুল মান্নানকে মনোনয়ন দেয়, ৫৪টির মধ্যে মাত্র এক কেন্দ্রে পাস করবেন। বাকিগুলোতে বিপুল ভোটে ফেল করবেন। তিনি কারও খোঁজ-খবর নেন না। মুষ্টিমেয় কয়েকজন লোক টিআর-কাবিখা ভাগবাটোয়ারা করে খায়। তাদের সুপারিশেই সুনির্দিষ্ট লোকদের অর্থ সহায়তা ও চাকরি দিয়েছেন এমপি।
কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের সদস্য মুসলেহ উদ্দিন বলেন, আবদুল্লাহ সাহেবের বাইরে এখানে টেকার মতো আওয়ামী লীগের কেউ নেই। অন্য কাউকে দিলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রামগতি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. নেসার উদ্দিন বলেন, ছয় পিএসকে ফোন দিয়ে তাকে (সংসদ সদস্য) ধরতে হয়। শুধু বলেন ব্যস্ত ব্যস্ত। এলাকায়ও আসেন না। সিত্রাংসহ কত সংকট গেলো, খবরও নেননি।
তিনি বলেন, এমপি মান্নানকে মনোনয়ন দিলে তার বিপরীতে বিএনপি জোটের কলাগাছ দাঁড়ালেও পাস করবে। বহিরাগত কাউকে নমিনেশন দিলে এখন আর এলাকার লোকজন মেনে নেবে না। দলীয় নেতারাও কাজ করতে চাইবে না। নেত্রীর কারণে বা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করলেও জনরোষে পড়বে।
রামগতি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোয়াইব হোসেন খন্দকার বলেন, আমাদের এখানে প্রার্থী ফ্যাক্ট। নিজান-রবের (বিএনপির আশরাফ উদ্দিন নিজান ও তাদের জোটের আ স ম রব) বিপরীতে এখানে একমাত্র আবদুল্লাহ আল মামুনকে দিলে জয় আনা সম্ভব। না হয় পরাজয়ে খেসারত দিতে হবে। আমাদের এলাকা বিএনপি অধ্যুষিত। পাশাপাশি রাজনীতি চলে গেছে টাকার হাতে। যারা টাকা ছিটায়, তারাই জয় পায়। ২০০১ সালে নিজান সাহেব এ প্রচলন করেছেন। ডাকসাইটে দুই নেতাকে টাকার ভেলকিতে পরাজিত করেছেন।
সংগঠিত বিএনপি, ব্যস্ত আন্দোলনে
এদিকে রামগতি ও কমলনগরে বিএনপি সুসংগঠিত। দলটির মনোনীত বা সমর্থিত প্রার্থী হলেই পাস করাতে মরিয়া স্থানীয়রা। সমর্থকরা বলছেন, বিএনপি জোটকে দিক, আর যাকেই দিক, আমরা তার জন্য কাজ করবো। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। যদিও দলটির নেতারা বলছেন, তারা এখন নির্বাচন নিয়ে ভাবছেন না। আছেন সরকার পতন ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনে। হামলা-মামলা দিয়ে তাদের দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি সৈয়দ শামছুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, পুরো লক্ষ্মীপুর বিএনপির ঘাঁটি। এখানে বিএনপি জোটের জনমর্থন ৮০ শতাংশ। জোট থাকবে কি না বা নির্বাচনের কৌশল কী হবে, তার ওপর নির্ভর করবে মনোনয়ন। জোটগতভাবে নির্বাচন করলে লক্ষ্মীপুর-৪ আসন আ স ম রবকে ছেড়ে দিতে হবে।
তবে বিএনপি এই মুহূর্তে ভোটের চেয়ে আন্দোলনে বেশি ব্যস্ত বলে জানান এ বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা।
মনোনয়ন ও এলাকায় দলের অবস্থান নিয়ে বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, আমরা তো এখন এগুলোর (নির্বাচন) মধ্যে নেই, আছি যুদ্ধের মধ্যে। ১১ তারিখ (ডিসেম্বর) রামগতিতে একটা, ১২ তারিখ কমলনগরে একটা মামলা করেছে। তারা নিজেরাই হাঙ্গামা করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবেশাধিকার সংকুচিত করে প্রশাসন যা করেছে, মিডিয়ায় নিশ্চয় দেখেছেন। তারপরও আমরা মাঠে আছি।
তিনি বলেন, আমার এলাকায় তিনটি সাংগঠনিক ইউনিট; রামগতি উপজেলা, পৌর এবং কমলনগর উপজেলা। এগুলোতে বিএনপির কমিটি আছে। কিছুদিন আগেই আমরা কমিটি করেছি। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ সবগুলো সংগঠনেরও কমিটি আছে।
দুই জোটেই হেভিওয়েট প্রার্থী
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই আসন জোটকে ছেড়ে দিলে ফের আওয়ামী জোটের মনোনয়ন পাবেন বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। এছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসভীরুল হক অনু এবং আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আবদুজ্জাহের সাজু।
অন্যদিকে বিএনপি জোটের মনোনয়ন পেতে পারেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম রব। জোট না হলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. শামছুল আলম, সাবেক এমপি এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান মনোনয়ন চাইবেন। জামায়াতও এখানে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলের জেলা সেক্রেটারি এ আর হাফিজ উল্যা তাদের প্রার্থী।
তবে আওয়ামী জোট এবং দলে মনোনয়ন নিয়ে বিভাজন থাকলেও বিএনপিতে বড় ধরনের বিরোধ নেই। যিনিই প্রার্থী হয়ে আসুক তাকে জয়ী করাতে সবাই একযোগে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, আমি দলের নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে ছিলাম, এখনো আছি। তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো পুনর্গঠন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারই এ জনপদের মানুষের সুরক্ষায় আন্তরিক। পরিকল্পিতভাবে ৩১শ কোটি টাকার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ হচ্ছে। এর আগেও কাজ হয়েছে।
এলাকায় সময় দেওয়ার বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার সঙ্গে রামগতি, কমলনগরের মানুষের আত্মার সম্পর্ক। আমার দরজা খোলা, সব সময় তাদের পাশে আছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আমি দলের নেতাকর্মী ও জনগণের জন্য কাজ করেছি, সাহায্য-সহযোগিতা করছি। অর্থ ও সময় দিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছি। আমাদের নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসভীরুল হক অনু বলেন, আমি ২২ বছর ধরে এখানে কাজ করছি। কখন নির্বাচন করবো বা মনোনয়ন পাবো কি না, জানি না। আপা (আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা) যদি জনগণের সেবা করার সুযোগ দেন, তাহলে নদীরক্ষা বাঁধটা সি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীত করার চেষ্টা করবো।
এসইউজে/এএসএ/এমএস