বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে ২০ দলের নেতারা
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন সদ্য বিলুপ্ত ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির কার্যালয়ে যান তারা।
সেখানে ২০ দলীয় জোট নেতাদের স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।
এসময় জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করিম, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের মাহবুব হোসেন, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মো. আবুল কাশেম, এনডিপির আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের শওকত আমিন, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নূরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের বর্বরতা থেমে নেই। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে মোকাবিলা করতে হবে। এরইমধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা হয়েছে। এ কর্মসূচি শুধু বিএনপির নয়, এটা সমগ্র জনগণের কর্মসূচি। সবাইকে শরিক হয়ে আন্দোলন সফল করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কার্যালয়ে যে তাণ্ডবের চিত্র দেখলাম তা সরকারের ফ্যাসিবাদের নমুনা। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি অবিলম্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি জানাই। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাই। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘পুলিশ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যা করেছে, তা অকল্পনীয়। অতীতেও এমনটি ঘটেছিল। এর নিন্দা জানাই এবং ঘৃণা প্রকাশ করি। এ ধরনের বর্বর আক্রমণ বন্ধের দাবি জানাই। ২০ দলীয় জোটে আছি কি না জানি না, তবে বিএনপির সঙ্গে ছিলাম এবং আছি।’
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের রফিকুল ইসলাম, কল্যাণ পার্টির নূরুল কবির পিন্টু, এনডিপির আব্দুল্লাহ হারুন সোহেল ও বিএলডিপির এম এ বাশার প্রমুখ।
কেএইচ/এএএইচ/এএসএম