প্যারিসে হেরে আসলো চেলসি


প্রকাশিত: ০৬:১৫ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শুরু হয়ে গেলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের লড়াই। তবে, এই নকআউটটা একটু ভিন্নরকম। এক ম্যাচ হারলেই বিদায় নয়। হিসেব হবে দুই ম্যাচের। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে যে এগিয়ে থাকবে, তিনিই উঠে যাবেন পরবর্তী রাউন্ডে। প্রথম পর্বের জমজমাট লড়াই শেষে এবার শুরু হলো দ্বিতীয় পর্বের লড়াই। প্রথম দিনই মুখোমুখি শিরোপা প্রত্যাশী দুই দল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) এবং চেলসি।

পার্ক ডিস প্রিন্সেসে খেলতে গিয়ে স্বাগতিক পিএসজির কাছে ২-১ গোলে হেরে আসলো গাস হিডিংকের দল। এডিনসন কাভানি এবং জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের গোলে জয় পেলো স্বাগতিক পিএসজি। চেলসির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন জন অভি মিকেল।

তবে পিএসজির মাঠে গিয়ে হারলেও অন্তত একটি গোল করতে পারাটাই যেন চেলসির জন্য বড় স্বস্তি। কারণ, গোলের ব্যবধান যে একটি কমিয়ে আনলো তারা। তারওপর, প্রতিপক্ষের মাঠে গোল দেয়ার সুবিধাটাও নিজেদের দখলে নিয়ে নিল তারা। সুতরাং, ফিরতি পর্বের ম্যাচে নিজেদের মাঠে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারাতে পারলেই শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে চেলসির। কারণ, তখন দুই পর্ব মিলে দু’দলের গোল হয়ে যাবে সমান ২-২। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে গোল দেয়ার সুবিধা নিয়ে চেলসি উঠে যাবে পরের রাউন্ডে। ফিরতি পর্বের ম্যাচ চেলসির পক্ষে ২-১ হলেই কেবল খেলা গড়াবে টাইব্রেকারে। পিএসজি কোনমতে ড্র করতে পারলেও তারা উঠে যাবে শেষ আটে।

এডিনসন কাভানি এককথায় পিএসজিতে ভ্রাত্য হয়ে গিয়েছিলেন। অফ ফর্মের কারণে সাইডবেঞ্চই এখন জুটছে তার কপালে। কিন্তু সেই অচল কাভানিই শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিলেন পিএসজিকে। পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নেমে করলেন দুর্দান্ত এক গোল।

পিএসজি এবং চেলসির এই ম্যাচটি দেখতে মাঠে উপস্থিত হয়েছিল প্রায় ৪৭ হাজার দর্শক। স্বাগতিক দর্শকদের সামনে ৩৯ মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে দেন দলের সেরা ফুটবলার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। সেট পিসে দুর্দান্ত এক শটই লক্ষ্য ভেদ করে দেয় ইব্রাকে। জন অভি মিকেলের বাজে ফাউলের কারণে চেলসির গোলমুখে ফ্রি কিক পেয়ে যায় পিএসজি। ফ্রি কিক নেন ইব্রা। সেটাই বুলেটের মত গিয়ে জড়িয়ে যায় চেলসির জালে।

লিডটা ৭ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারলো না পিএসজি। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের খেলা চলছিল তখন। হঠাৎ দিয়েগো কস্তার পাস ধরে ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শট নেন সেই অভি মিকেলই। চোখের পলকে জড়িয়ে যায় পিএসজির জালে। ১-১ সমতা নিয়েই দু’দল গেল বিরতিতে।

দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই চেষ্টা করেছে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু ৭৮ মিনিটে বাজিমাত করেন এডিনসন কাভানিই। ৭৪ মিনিটে লুকাস মউরার পরিবর্তিত হিসেবে তাকে মাঠে নামা কোচ লরা ব্লাঁ। কোচের আস্থার দারুন প্রতিদান দিলেন কাভানি। অ্যাঞ্জেল ডি মারিার পাসে বল পেয়ে কঠিন এক কোন থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে চেলসির জালে বল জড়ান কাভানি।

শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে জয় দিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।