লোডশেডিং মিউজিয়াম থেকে কীভাবে বেরিয়ে এলো, প্রশ্ন মোশাররফের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার নাকি লোডশেডিং মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বারবার এ কথা বলেছেন। তো আজ সেই লোডশেডিং মিউজিয়াম থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসলো?’
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন প্রশ্ন তোলেন।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘তারেক রহমান: গণতন্ত্রের অগ্রপথিক ছবির অ্যালবাম’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদ্যুৎ খাতে ব্যয়ের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা শহরে ২৪ ঘণ্টায় কতবার লোডশেডিং হয়, আপনারা ভালো করেই জানেন। গ্রামে তো ১০-১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং। এত লোডশেডিং হলে বিদ্যুৎ খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা গেলো কোথায়?’
তিনি বলেন, ‘সরকার এখনই বলছে, আগামীতে দুর্ভিক্ষ হবে। হারিকেন নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলছেন জনগণকে। আপনারা যে ব্যর্থ সেই সাক্ষ্য নিজেরাই দিচ্ছেন। জনগণের কথা হচ্ছে এনাফ ইজ এনাফ। দয়া করে বিদায় হোন। এ সরকার কিছুই পারবে না। এ সরকারকে বিদায় না করতে পারলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।’
বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘অতীতেও এ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সম্প্রতি গাইবান্ধার উপ-নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা আজকে প্রমাণিত যে, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না, হয় ডাকাতি।’
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘এ সরকারকে না হটালে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। সেই লক্ষ্যে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।’
সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন বুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইন প্রমুখ।
কেএইচ/এএএইচ/এমএস