ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২২
চমেক হাসপাতাল/ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) রাতে ফটিকছড়ি পৌরসভার আন্ডা মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ফটিকছড়ি পৌরসভার ধুরুং এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে ছাত্রলীগকর্মী শামীম (১৮), একই এলাকার মো. জয়নালের ছেলে শাওন (১৮), ইয়াকুবের ছেলে আরমান (২১), সাইফুদ্দীনের ছেলে আরাফাত(২০), সুন্দরপুর ছাদেকনগর গ্রামের আহমদ উল্লাহ সিকদারের ছেলে রহিম (১৯)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আন্ডা মার্কেট এলাকায় শনিবার রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল এবং সাজ্জাদ-মেজবাহ গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গুরুতর আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার রাতে আন্ডা মার্কেট এলাকায় যে মারামারি হয়েছে সেটি পলিটিক্যাল মারামারি নয়। তবে দুই গ্রুপের যারা আহত হয়েছেন তারা ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে থাকেন। তারা ছা্ত্রলীগের কর্মী। তাদের কোনো পদপদবি নেই। আহতদের উদ্ধার করে আমি হাসপাতালে নিয়েছি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আশেক জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে ফটিকছড়িতে মারামারির ঘটনায় আহত আরমান, আরাফাত এবং রহিমকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে তাদের ২৪ নম্বর ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফটিকছড়ি উপজেলা ছা্ত্রলীগের এক নেতা জানান, তিন মাস আগেও দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন এক পক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে পৌর মেয়র ইছমাইল হোসেন বিষয়টি মীমাংসা করেন। এর জের ধরে শনিবার রাতে পুনরায় মারামারির ঘটনা ঘটে।

রোববার (৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার রাতে যে মারামারি হয়েছে, তাতে আমার সম্পৃক্ততা নেই। আমি একটি গ্রুপের লিড দেই। একটি গ্রুপের লিড দেন জামাল। অন্য আরেকটি গ্রুপের লিড দেন জেলা ছাত্রলীগের মেজবাহ। শনিবার রাতে জামাল-মেজবাহ গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন তারা ওই দুই গ্রুপের।

এ বিষয়ে জানতে ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. ঈসমাইল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, ‘পৌরসভা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির কোনো খবর আমরা শুনিনি, অবগতও নই।’

একই কথা বলেন হাটহাজারি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘মারামারির ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। ওসি সাহেব বলতে পারবেন।’

ইকবাল হোসেন/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।