‘বীরাঙ্গনার আত্মকথন’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত


প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বীরাঙ্গনার আত্মকথন’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রন্থটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো শিল্পী বেগম কর্তৃক সংকলিত ও সম্পাদিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
 
অনুষ্ঠানের শুরুতে লেখক ও গ্রন্থ পরিচিতি তুলে ধরেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান ও ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রকীব উদ্দীন আহমেদ।

সূচনা বক্তব্য রাখেন গ্রন্থকার অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। প্রকাশিত গ্রন্থটির মুখবন্ধ লিখেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান এবং প্রাথমিক পর্যালোচনা করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

এছাড়া, গ্রন্থটির উপর আলোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম,মফিদুল হক এবং অধ্যাপক এম এম আকাশ।
 
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনাদের স্মৃতিকথা লিপিবদ্ধ করে গ্রন্থাকারদ্বয় এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালি জাতির ওপর বর্বর গণহত্যা চালায় এবং অসংখ্য নারীকে নির্যাতন করে। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা এখনও সেই নির্যাতনের চিহ্ন বহন করে চলেছেন।

বাংলাদেশে গণহত্যা ও নির্যাতনের কথা অস্বীকার করায় কঠোর ভাষায় পাকিস্তানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একাত্তরের বাংলাদেশে গণহত্যা ও নির্যাতনের কথা পাকিস্তানের অস্বীকার করা এক বর্বরতারই নিদর্শন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, জেনারেল ইয়াহিয়া স্বদম্ভে ৩০ লাখ বাঙালি হত্যাকাণ্ডের কথাই ঘোষণা করেছিল ১৯৭১’র ২২ ফেব্রুয়ারি। এনিয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করার অপচেষ্টার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।

উপাচার্য তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে ও পড়ার আহ্বান জানান। ‘বীরাঙ্গনাদের আত্মকথন’  একটি অবশ্য পাঠ্যগ্রন্থ, তরুণদের তা পড়তে হবে।
 
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্ব হারানো ২০ জন বীরাঙ্গনা নারীর নিজ বয়ানে তাদের জীবনকাহিনী এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তাদের জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার বিষয়গুলো নিয়ে সম্পাদিত হয়েছে এই গ্রন্থটি।

এমএইচ/ এসকেডি/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।