এরশাদের সভায় অংশ নেবেন না সংসদ সদস্যরা
জাতীয় পার্টির চলমান অস্থিরতা এখনও কাটেনি। দলের ভিতরে নাটকের মঞ্চায়ন এবং পাল্টা মঞ্চায়ন চলছে। এরশাদ তার ক্ষমতার ৩৯ ধারা ব্যবহার করে কখনও দলের নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করছেন আবার সুবিধামতো সময়ে নিয়োগ দিচ্ছেন।
এরশাদের ছোটভাই জিএম কাদেরকে প্রত্যাহার এবং বিরোধীদলীয় নেতা ও সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদকে দলের ১ নম্বর কো-চেয়ারম্যান না করা পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ প্রেসিডিয়াম ও সংসদীয় দলের কোনো সদস্য এরশাদের সভায় অংশ নেবেন না।
রোববার বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় দলের চেয়ারম্যান তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিরোধীদলীয় নেতা ও সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদকে দলের ১ নম্বর কো-চেয়ারম্যান না করা পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ প্রেসিডিয়াম ও সংসদীয় দলের কোনো সদস্য সোমবারের মতবিনিময় সভা বা এরূপ কোনো সভায় অংশগ্রহণ করবেন না তারা।
গত ১৯ জানুয়ারি জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করা এবং সাবেক বহিষ্কৃত মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে পুনরায় মহাসচিব ঘোষণার বিষয়ে চলছে বর্তমানে নাটকের মঞ্চায়ন।
এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা রোববার সংসদীয় দলের সভায় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান কর্তৃক জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নিয়োগের বিষয়টি প্রত্যাহার করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সভায় বলা হয়, একতরফাভাবে অগঠনতান্ত্রিক উপায়ে এরশাদ জিএম কাদের এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে নিয়োগ দিয়েছেন। এখন এরশাদের এ সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা ও দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদকে দলের কো-চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়।
এরশাদের ক্ষমতা থাকলেও প্রেসিডিয়াম এবং সংসদীয় দলের যৌথসভায় আলোচনা ছাড়া দলের চেয়ারম্যান এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। সভায় দলের ২৭ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এএম/বিএ