গুলতেকিনের বই নিয়ে বিশিষ্টজনরা যা বললেন


প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন করা হলো "আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম" নামের কবিতার বইটির। যার লেখক জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খান।

শুক্রবার রাত সোয়া ৭টায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গুলতেকিনের নানা প্রতিভার কথা উল্লেখ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

হুমায়ুন আহমদের মেয়ে নোভা আহমেদ মা গুলতেকিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, চেনা রাস্তায় হাঁটা খুবই সহজ। কিন্তু অচেনা রাস্তায় হাঁটা অনেক কঠিন। আমার মা কঠিন পথ পেরিয়ে নতুন রাস্তা দিয়ে হাঁটা শুরু করেছেন।

Gultani

মঞ্চে উপস্থিত গুলতেকিনকে উদ্দেশ্য করে নোভা বলেন, মা তোমার মতো সুন্দর করে হয়তো কথা বলতে পারবো না তবে বলবো আজ আমাদের অনেক ভাল লাগছে।

অনুষ্ঠানে জাফর ইকবালের প্রেরিত শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করেন তারিকুল ইসলাম খান। শুভেচ্ছা বক্তব্যে গুলতেকিনের নানা গুণের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

গুলতেকিনের কবিতার বই পড়ে অভিভূত হয়েছেন জানিয়ে কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম" কবিতার বইটি পড়ে মনে হয়েছে অভিজ্ঞ একজন কবি যেন কবিতাগুলো লিখেছেন।

হাস্যোজ্জল মুখে বিশ্লেষন করতে গিয়ে তিনি বলেন, গুলতেকিন অনেকগুলো কবিতায় স্পষ্ট বর্ণনা না দেয় কৌশলে জীবনের বর্ননা দিয়েছেন। সর্বোপরি কবিতার বইটি পড়ে অভিভূত  এবং কবিতা লেখার সব নিয়ম মানা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Gultani 

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন,  হুমায়ুন আহমদের বাবা বেঁচে থাকলে আজ অনেক খুশি হতেন। গুলতেকিনের কবিতার বইটির প্রসংশায় মুখর হয়ে উঠেন তিনি।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল হক বলেন, একজন শিক্ষকের কাছে সবচেয়ে বেশি আনন্দের বিষয় হচ্ছে তার শিক্ষার্থীর ব্যতিক্রমী কোন সৃষ্টিতে উপস্থিত থাকতে পারা।

গুলতেকিন ইংরেজী সাহিত্যের শিক্ষার্থী হয়েও বাংলা কবিতা লিখে অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। নতুন জীবনে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এসএ/এএসএম/এমএম/এমএইচ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।