রাজনীতিতে ফিরছেন না সোহেল তাজ


প্রকাশিত: ০৬:২৮ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ রাজনীতিতে ফিরে আসছেন বলে কয়েক দিন ধরে যে গুঞ্জন চলছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন সোহেল তাজ নিজেই। সোমবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সোহেল তাজ জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত আমার রাজনীতিতে ফিরে আসার খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সোহেল তাজ জানান, দুই বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাবা তাজউদ্দীন আহমদ ও মা জোহরা তাজউদ্দীনের নামে গঠিত ‘মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি আমি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করতে শনিবার রাতে গণভবনে যাই। পরে কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে যে, আমি রাজনীতিতে ফিরে আসছি, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

taj

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি আরো লিখেন, ফাউণ্ডেশনের মহৎ উদ্যোগ সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অমূল্য নির্দেশনা এবং উপদেশ  দিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র বাংলাদেশের জনগণের অভিভাবক নন, তিনি বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও নীতির রক্ষাকারীও। তাই আমাদের মহৎ উদ্যোগ সম্পর্কে তার সহযোগিতা ও আশীর্বাদ চাইবো এটাই স্বাভাবিক।

এক ঘণ্টা পর অপর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সোহেল তাজ লিখেন, আমার প্রতি সবাই যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, এজন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনগণের জন্য প্রচুর কাজ করতে পারবো সেটি আমি জানি। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম, আছি এবং সব সময় থাকবো, যার জন্য আমার বাবা তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করেছেন। ফাউন্ডেশন, আমাদের পরিবার এবং আমার জন্য ভালোবাসা, অনুগ্রহ এবং সমর্থনের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।

taj

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেও ওই বছরের ৩১ মে সোহেল তাজ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। এরপর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। দীর্ঘ সাত বছর পর কয়েক দিন আগে দেশে ফিরেন সোহেল তাজ।

এআরএস/এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।