ছাত্রদলে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে: ছাত্রদল সা. সম্পাদক
সম্প্রতি গঠিত হয়েছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে সভাপতি হয়েছেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাইফ মাহমুদ জুয়েল। তাদের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে একাধিক কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রদল।
কিন্তু গত ২৪ ও ২৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গিয়েও ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়েছে ছাত্রদল। এমনকি তা সংঘর্ষেও গড়িয়েছে। এ সংঘাতের জন্য ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল পরস্পরকে দুষছে। ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ক্ষমা চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে ছাত্রদলকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক এ রাজনৈতিক উত্তাপ নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ছাত্ররাজনীতির গুণগত মান পরিবর্তন করতে চায়। ছাত্রদল সেই রাজনীতি করবে যে ছাত্ররাজনীতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হবে।
জুয়েল বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে জনপ্রিয়তা বেড়েছে। অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তারা বিভিন্ন ইউনিটে যোগদান করছে। ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি প্রতিনিধিত্বশীল রাজনীতি করার চেষ্টা করছে, মেধাবীদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।
ছাত্রদলের নেতৃত্বে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে ছাত্রদলের একটি গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রদলে শিক্ষার্থীরা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, কারণ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মেধাবীদের সংগঠিত করে রাজনীতি করে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে রাজনীতি করে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘাতের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনীতি-সংস্কৃতি মেনেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছি। কমিটি গঠনের পরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি, মতবিনিময় করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন করতে আমরা সাংবাদিকদের ডেকেছিলাম। ছাত্রলীগ আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে।
সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, সংবাদ সম্মেলন করতে যাওয়ায় আমাদের ওপর যে হামলার ঘটনা হয়েছে তা ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।
এমএএইচ/এমএস