দাওয়াত খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে যুবক নিহত
মাদারীপুরের শিবচরে দাওয়াত খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের মধ্যে আলমগীর হাওলাদার নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন আরো পাঁচজন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার দুপুরে সংঘর্ষের পর আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করেন। এখানেও রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ফরিদপুর থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কিন্ত ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীর মারা যান। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পারিবারিক সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উত্তর বাঁশকান্দি গ্রামের শহিদ মল্লিকের ছেলে প্রান্তের খাতনা অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়ার সময় খাবার টেবিলের খানা-পিনা নিয়ে নিমন্ত্রিত মেহমান ও খাবার পরিবেশকদের মধ্যে কথাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে মল্লিক বাড়ির লোকজন উত্তেজিত হয়ে লাঠি-সোঠা নিয়ে নিমন্ত্রিত মেহমান আলমগীর হাওলাদারসহ আলম হাওলাদার (৪৫), নান্নু হাওলাদার (৪৫), কালু মল্লিককে (২৮) এলোপাতারি মারপিট করলে গুরুতর আহত হন।
এছাড়া এই সংঘর্ষের ঘটনায় অপরপক্ষ মল্লিক বাড়ির কুসুম মল্লিক (৩৯) ও সেকান (৫৫) আহত হন। তাদেরকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, মল্লিক বাড়ির মো. সাহাবুদ্দিন মল্লিক, কুসু মল্লিক তার অপর সমর্থকরা ছেনদা, রামদা, লোহার রড, লাঠিসোঠা নিয়ে আক্রমণ করে। আলমগীর হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছেনদা দিয়ে মাথার উপরে কোপ দেয়া হয়।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ কে এম নাসিরুল হক/বিএ