জাপা কোন জোটে যাবে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত: জিএম কাদের
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোন জোটে যাবে, নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বুঝে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেন, বর্তমানে ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই জাতীয় পার্টি রাজনীতির মাঠে এগিয়ে চলছে।
শনিবার (২১ মে) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে একদল নারী উদ্যোক্তার জাপায় যোগদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমিন সুলতানা তুলির নেতৃত্বে এসব নারী উদ্যোক্তা জাপায় যোগ দেন।
কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের সামনে প্রশাসন বা সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অসহায় হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে সরকারপ্রধান ঘোষণা করেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন)। সবগুলো আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ না হলেও, যেসেব আসনে সরকারদলীয় প্রার্থীরা প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না সেখানে হয়তো ইভিএমে ভোট হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি প্রহসনের নির্বাচন চায় না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য ডাকা হলে, আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংলাপে অংশ নেবো।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও চরিত্রগত কোনো পার্থক্য নেই। দল দুটি দুর্নীতি, দুঃশাসন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজি করে মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করেছে।
এসময় জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। গেলো তিন বছরে মানুষের ব্যয় বেড়েছে ৪০ শতাংশ, কিন্তু আয় বাড়েনি। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। মন্ত্রীরা যা বলেন তা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে না। মন্ত্রীরা দেশের মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে জানেন না।
অনুষ্ঠানে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/ইএ/জেআইএম