ক্ষমতাসীনরা দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক: রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪২ পিএম, ০৪ মে ২০২২
ফাইল ছবি

সরকার দলীয় ক্ষমতাসীনরা দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তাদের জন্য দেশের কোনো আইন-আদালত প্রযোজ্য নয়। আর বাকি সবাই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। আওয়ামী লীগের কৃপায় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকরা প্রজা হিসেবে দেশে বসবাস করছেন।

বুধবার (৪ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, দুর্নীতির মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাজি সেলিম আত্মসমর্পণ না করেই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সগৌরবে থাইল্যান্ড চলে গেছেন। অথচ দেশের জনপ্রিয় দেশনেত্রী ও চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়েও চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পান না। কথিত দুর্নীতির মিথ্যে মামলায় তাকে বন্দি রেখে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বোর্ড ও তার পরিবার বারবার আবেদন করলেও বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী-এমপিদের দেশনেত্রীকে নিয়ে উপহাস-কটাক্ষের ধারাবর্ষণ থেমে নেই।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নানা কারসাজি করে থাকেন। আর হাজি সেলিম বা দিপু হক সিকদাররা কোনো অনুমতি না নিয়েই সরকারের প্রশ্রয়ে বিদেশ চলে যান, তখন আনিসুল হক নিশ্চুপ।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আবারো প্রমাণ করলেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে ও প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছেন। তাকে তিলে তিলে নিঃশেষ করতেই বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে দেশনেত্রীকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়ার অনুমতি না দিলে এ নিশিরাতের মিথ্যাবাদী সরকারকে আর ছাড় দিবে না দেশের জনগণ।

ক্ষমতাসীনরা দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক: রিজভী

রিজভী বলেন, এক ভয়াবহ শ্বাসরুদ্ধকর সংকটে উপনীত হয়েছেন গোটা দেশের জনগণ। নিশিরাতের মাফিয়া সরকার এদেশের আইন-আদালত-বিচার-আচার-প্রশাসন সবকিছু দলীয়করণের ঘনকালো আলখেল্লায় ঢেকে দিয়েছে। আদিম বন্য শাসন চলছে দেশের প্রতিটি সেক্টরে।

তিনি বলেন, আইন ও বিচারের চোখ কানা করে দিয়েছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী। মুজিব কোটধারী আওয়ামী লীগরা ও প্রধানমন্ত্রীর ছত্রছায়াপ্রাপ্তরা দেশের সব আইন-কানুনের ঊর্ধ্বে। হীরক রাণীর দেশে তাদের জন্য সাত খুন মাফ।

রুহুল কবীর বলেন, বিএনপির জন্য আদালতগুলোকে ক্যাঙ্গারু কোর্টে পরিণত করা হয়েছে। বিচারালয়গুলোকে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা পূরণের মেশিনে পরিণত করা হয়েছে। এটা এখন শেখ হাসিনার তথাকথিত ন্যায় বিচারের নতুন মডেল।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ডা. রফিকুল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এমআইএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।