‘চিকিৎসার জন্য’ বিদেশ গেলেন দণ্ডিত হাজি সেলিম!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ০২ মে ২০২২

দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ড নিয়ে দেশ ছেড়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজি মোহাম্মদ সেলিম। গত শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে থাইল্যান্ড যান।

সোমবার (২ মে) জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাজি সেলিমের ছোট ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম।

তিনি বলেন, তার বাবা চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গেছেন। দুই-তিনদিনের মধ্যেই দেশে ফিরবেন। এরপর আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।

দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ড হওয়ার পরও কোন প্রক্রিয়ায় বিদেশ গেলেন—এমন প্রশ্নে কোনো উত্তর দিতে পারেননি ইরফান সেলিম। তিনি বলেন, একটি টেলিভিশন চ্যানেল তার বাবার বিরুদ্ধে দেশ থেকে পালিয়েছেন বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা সঠিক নয়। বাবা ফিরে আসবেন।

হাজি সেলিমের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, হাজি সেলিমের সফরসঙ্গী হিসেবে ঘনিষ্ঠ কাউকে নিয়ে যাননি। তবে পৃথকভাবে তার ঘনিষ্ঠ কেউ থাইল্যান্ড গিয়ে থাকতে পারেন।

হাজি সেলিমের বড় ছেলের নাম সোলাইমান সেলিম। তিনি রোববার (১ মে) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, তার বাবা এখন দেশে নেই। এরপর থেকে বিষয়টি জানাজানি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে তার বিদেশ সফরের বৈধতা এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

দুর্নীতির মামলায় এক যুগ আগে বিচারিক আদালতের রায়ে সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাজি সেলিম হাইকোর্টে আপিল করেন।

এ আপিলের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজি সেলিমকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সময়সীমার মধ্যেই আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য দেশ ছেড়েছেন।

এমএমএ/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।