‘আসল বিএনপি’র অনুসারীর জবানবন্দি


প্রকাশিত: ০২:৪৪ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগত ‘আসল বিএনপি’র কামরুল হাসান নাসিমের এক অনুসারী মো. টিপু গণমাধ্যমের কাছে নিজের জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার বিকেলে ‘আসল বিএনপি’র অনুসারীদের সঙ্গে নয়াপল্টনে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে সাউন্ড বক্সে দলীয় সংগীত বাজাতে বাজাতে আসছিলাম। গন্তব্য ছিল নয়াপল্টন কার্যালয়।

তিনি আরো বলেন, গাড়ি নিয়ে আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আসলে একদল যুবক এসে গাড়িতে আক্রমণ করে। এসময় তারা এসে আমার হাতে আঘাত করে। পরবর্তীতে আত্মরক্ষার্থে গাড়িতে অবস্থানরত আমরা তিনজন পালিয়ে যাই।

এদিকে গাড়িতে কামরুল হাসান নাসিমের ‘নেতৃত্ব’ বইয়ের কয়েকটি কপি পাওয়া গেলেও সাউন্ড রেকর্ডার কারা পাঠিয়েছেন তা জানেন না বলে জানান টিপু।

তবে গাড়ির পেছনে অন্তত ৩০ জন লোক তাদের সঙ্গে ছিলেন বলেও জানান তিনি। তখন নয়াপল্টন কার্যালয়ে কেন যাচ্ছিলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু বলেন, কেন সেখানে যাচ্ছি সেটা জানি না। গান বাজাতে বাজাতে পিকআপটি নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে থামাতে হবে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

এদিকে বিকেল পৌনে ৪টায় ছাত্রদল ও নাসিমের সমর্থকদের সংঘর্ষের পর ৪টায় গাড়িটি উদ্ধার করতে আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতেই গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন টিপু। পরবর্তীতে পুলিশ কাউকে আটক না করলেও গাড়িটির আগুন নিভিয়ে নিয়ে যান।

এদিকে ঘটনার পর কামরুল হাসান নাসিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘দখল তো আর নারী আর বই হাতে রেখে হয় না। আমরা জাতীয়তাবাদী জনতার উচ্চ আদালত বসাতে চাই। আর আমি আসল নই, বিএনপি পুনর্গঠন নিয়ে কাজ করছি।’

তিনি আরো বলেন, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি বাংলাদেশে রাজনীতিতে আগামী ১০০ বছরের রূপরেখা নিয়ে কাজ করছি। তবে সবার আগে নিজ দল এরপর বাংলাদেশ নিয়ে কিছু রেখে যেতে চাচ্ছি। কেন বিএনপির পুনর্গঠন করতে চাচ্ছি- সেক্ষেত্রে একটিই কথা, জাতীয়তাবাদ ধারণ করতে হবে। আমরা সেই চরিত্রে নেই। বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতি করেই হাসিনা সরকারের মোকাবেলা করতে হবে। আমরা কেন নিজেরা নিজেদের মারছি?

এমএম/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।