এমপি লিটনের জামিনের মেয়াদ আবারো বাড়লো
শিশু সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ চতুর্থ দফায় আবারো বর্ধিত করেছে আদালত।
রোববার দুপুরে গাইবান্ধা আমলি আদালতের (সুন্দরগঞ্জ) বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল হাসান ইউসুফ এ আদেশ দেন। এর আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর আদালত থেকে প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাওয়ার পর পরবর্তীতে ২৪ নভেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর দুই দফা ওই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। রোববারের জামিনসহ তার তৃতীয়বারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হল।
গাইবান্ধা কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. এনামুল হক জানান, শিশু হত্যা চেষ্টায় জিআর ১৭১ নম্বর মামলায় ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এমপি লিটন অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জামিনের সময় বৃদ্ধি করেন।
এমপি লিটনের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম বাবু জানান, এমপি লিটনের স্থায়ী জামিন চেয়ে আমলি আদালতে (সুন্দরগঞ্জ) চতুর্থ দফা আবেদন করা হয়। কিন্তু বিচারক স্থায়ী জামিন নামঞ্জুর করে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জামিনের সময় বর্ধিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর ভোরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় গুলিতে আহত হয় শাহাদাত হোসেন সৌরভ নামে ৯ বছরের এক শিশু। পরদিন এমপি লিটনের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন শিশুটির বাবা সাজু মিয়া। এছাড়া এমপি লিটনের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৬ অক্টোবর আরেকটি মামলা করেন সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ গ্রামের বাসিন্দা লিটনের প্রতিবেশি হাফিজার রহমান মণ্ডল।
ওই দুই মামলায় এমপি লিটনকে ১৪ অক্টোবর রাতে রাজধানীর উত্তরায় তার বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই রাতেই তাকে গাইবান্ধায় নিয়ে আসা হয়। পরদিন তাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তার পক্ষে একদল স্থানীয় আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক ওই জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে পাঠান। ওই মামলাতেও তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে আছেন।
অমিত দাশ/এআরএ/পিআর