‘সরকার এত অযোগ্য যে স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়েও দুর্নীতি করেছে’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার এত অযোগ্য যে স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়েও দুর্নীতি করেছে। স্বাধীনতা পদক দেওয়ায় সরকার আত্মীয়করণ করেছে। যাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে— তাদের মধ্যে বেশিরভাগই হয় এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন, না হয় প্রধানমন্ত্রীর।
বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে চিকিৎসা ও সেবা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্বনির্ভর দেশ গঠনে জিয়াউর রহমান ও আপসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় এ অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
সভায় সাতজন চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধাকে তাদের অবদানের জন্য ক্রেস্ট দেওয়া হয়। তারা হলেন— প্রয়াত অধ্যাপক ফরিদুল হুদা ও অধ্যাপক মোবিন খান। প্রয়াত ফরিদুল হুদার পক্ষে তার ছেলে নাজমুল হুদা বিপ্লব ও মোবিন খানের পক্ষে ডা. সাইফুল ইসলাম লেলিন ক্রেস্ট নেন। এছাড়া অধ্যাপক শামসুল ইসলাম, ডা. সাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক মোমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক আবদুল হক। এসময় বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আবদুস সালামকেও সন্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেখেন এ সরকার এত ব্যর্থ-অযোগ্য যে— তারা স্বাধীনতার পদক নিয়েও দুর্নীতি করেছে। যে স্বাধীনতার পদক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চালু করেছিলেন সেই পদক নিয়েও তারা দুর্নীতি করেছে। যেখানে আমির হামজা নামে একজনকে পদক দিয়েছে তারা, যার সম্পর্কে.. পরে বাতিল করে দিয়ে তার আবার নতুন করে তদন্ত করছে তারা। শুধু তারই কেন? আরও যাদের দিয়েছেন তাদেরটা তদন্ত করুন, তারা কারা? এদের বেশিরভাগই হয় এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন অথবা প্রধানমন্ত্রীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সব পেশাজীবীদের কাছে আমরা আহ্বান জানাবো, আসুন সব রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, এ সরকার স্বাধীনতাবিরোধী সরকার, জনগণের বিরুদ্ধের সরকার। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করছি।
দেশের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে দারিদ্র্যের হার দুই শতাংশ বেড়েছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা একদম গেছে। এটা বাস্তবতা। দ্রব্যমূল্যে ও ইনফ্লেশন এমনভাবে বেড়েছে যে মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ আমাদের ওবায়দুল কাদের সাহেবের চব্বিশ ঘণ্টাই ঘুমায়। তিনি সারাক্ষণ বিএনপিকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখেন এবং সমানে কথা বলতে থাকেন।
চিকিৎসা ও সেবা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক হারুন আল রশিদ ও সদস্য ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক মহাসচিব অধ্যাপক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আব্দুস সেলিম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন ডাবলু, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. শহীদুল আলম প্রমুখ।
কেএইচ/এমএএইচ/জিকেএস