প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি না পৌঁছানোর জন্য আমলারাই দায়ী
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবি নিয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে গত আট মাসে শিক্ষকদের পাঠানো কয়েক দফা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে না পৌঁছানোর জন্য আমলাদের দুষছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
তারা বলেন, আমলাদের কারণে শিক্ষকদের কোনো চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারেনি। বুধবার কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে র্যালি পরবর্তী সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন শাবির শিক্ষক নেতারা।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, কর্মবিরতির মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টায় বেতন কাঠামোয় অসঙ্গতি নিরসনের দাবিতে ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে র্যালি বের করেন শিক্ষকরা। র্যালিটি টিচার্স ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘চেতনা ৭১’র সামনে সমাবেশে মিলিত হন শিক্ষকরা।
শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গণির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রেজাই করিম খন্দকার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামাল আহমেদ চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুছ, অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক মস্তাবুর রহমান, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মো. সেলিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক উদ্দিন প্রমুখ ।
সমাবেশে অষ্টম বেতন কাঠামোয় শিক্ষকদের মর্যাদা অবনমনের জন্য আমলাদের দায়ী করে বক্তারা বলেন আমলাদের কারণে শিক্ষকদের কোনো চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
আমলারা আমাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কান ভারি করেছেন বলেই তিনি আমাদের নিয়ে কটু কথা বলেছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, আমরা শিক্ষকরা যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একবারও দেখা করে আমাদের কথা বলতে পারি তাহলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
এদিকে, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। কোনো বিভাগে কোনো ক্লাস হয়নি, পরীক্ষাও নিতে দেখা যায়নি কোনো বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল করলেও ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অনেক কম।
আব্দুল্লাহ আল মনসুর/এমজেড/আরআইপি