২১ ভরি স্বর্ণের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ট্রফি


প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ফুটবলের আসর এ নিয়ে চতুর্থবার। গত বছর থেকে নতুন নামকরণ- বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ট্রফি। নামের সঙ্গে মিলিয়ে ট্রফিটাও স্বর্ণের হওয়া চাই। এ কারণে প্রথম আসরে গোল্ডকাপের ট্রফি তৈরী করা হয়েছিল প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণ দিয়ে। সেই ট্রফিটা আবার চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়াকে স্থায়ীভাবে দিয়ে দেয়া হয়েছে।

এবারও শুরুতে একই চিন্তা ছিল। তবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আয়োজক কমিটি ভিন্ন একটি চিন্তা থেকে নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। একেবারে বিশ্বকাপ ফুটবলের মতই। বিশ্বকাপ ফুটবলে যেমন মূল ট্রফিটা রেখে বিজয়ী দলকে একটি রেপ্লিকা দেয়া হয় বিজয়ের স্মারক হিসেবে, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আয়োজকরাও হাঁটছেন একই পথে।

স্থায়ী একটি ট্রফি তৈরী করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টটির জন্য। সাথে তৈরী করা হচ্ছে একটি রেপ্লিকাও। স্থা্য়ী ট্রফিটা তৈরী করা হচ্ছে ২১ ভরি স্বর্ণ দিয়ে। ২০ ইঞ্চি উচ্চতার এই ট্রফিটি থাকবে বাফুফের কাছেই। পরিবর্তে বিজয়ের স্মারক হিসেবে বিজয়ী দলকে দেয়া হবে একটি রেপ্লিকা।

বাফুফে ভবনে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগ। বাফুফে সেক্রেটারি জানান, রেপ্লিকা ট্রফির সঙ্গে বিজয়ী দলের জন্য এবার থেকে থাকছে প্রাইজমানি। চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৫০ হাজার ডলার আর রানারআপ দল প্রাইজমানি পাবে ২৫ হাজার ডলার। রানারআপের জন্যও থাকবে একটি রেপ্লিকা ট্রফি। চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা হবে গোল্ডেন আর রানারআপ ট্রফিটা হবে সিলভার কালারের।

বাফুফে সেক্রেটারি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আয়োজক কমিটি প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১৮ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণ দিয়ে তৈরী করা হবে ট্রফিটি। তবে ট্রফি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিজাইনের কারণে আরও এক ভরি স্বর্ণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ২১ ভরি স্বর্ণ ছাড়াও ট্রফিটা তৈরী হবে অন্যান্য দাতব পদার্থ দিয়ে। গত আসরের ট্রফির ডিজাইনটাই হুবহু রেখে দেয়া হচ্ছে স্থায়ী ট্রফিটার ক্ষেত্রে। তবে কোন প্রতিষ্ঠান এই ট্রফিটা তৈরী করছে তা এখনই বলতে রাজি হননি বাফুফে সাধারণ সম্পাদক। শুধু জানিয়েছেন ফাইনালের একদিন কিংবা দু’দিন আগে উম্মোচন করা হবে ট্রফিটি।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।