সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মদের লাইসেন্স রুখতে হবে: সৈয়দ ইবরাহিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২০ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

২১ বছর বয়সে মদের লাইসেন্স ও ১০০ জন লাইসেন্সধারীকে মদের বারের অনুমতি দিয়ে সরকার দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির ‘মাদকের ভয়াবহতা, যুব সমাজের নৈতিক সংকট-সমাধানে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, এ মদের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরকার বিরত না হলে দেশের জনগণ গভীর সংকটে পড়বে।

মুসলিমপ্রধান দেশের সরকার হিসেবে অবিলম্বে মদের লাইসেন্স দেওয়া থেকে বিরত থাকার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে দেশের সব মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মদের লাইসেন্স ও অনুমোদন রুখতে হবে।

লাইসেন্স বাতিলে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে দেশে সব মুসলমানদের আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদক রোধে আমাদের সবাইকে অধিক সচেতন হতে হবে। মাদক সেবনের কারণে মুখমণ্ডল ফুলে যাওয়া, মুখ চোখ-নাক লাল হওয়া, ক্ষুধামন্দা, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া, বুক ও ফুসফুস নষ্ট হওয়া, ক্যানসার, লিভার সিরোসিস, আলসার হওয়া ও যৌন শক্তি কমে যায়।

তিনি বলেন, মাদকের কারণে বাংলাদেশ বড় রকমের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই মাদককে সবাই না বলি ও আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ থেকে মাদক নির্মূলে ভূমিকা রাখি। মাদকমুক্ত কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বস্তরে মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে গোল টেবিল বৈঠক থেকে তিন দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো- দেশের প্রকৃত উন্নয়নে যুব সমাজ গঠনে সঠিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, সুখি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষার পরিবেশ দিতে হবে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে হারাম হালাল নিষিদ্ধ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। মুসলিম প্রধান দেশে সাধারণ মানুষের প্রকৃত চাওয়া পাওয়া প্রত্যাশা পূরণে সরকারকে আরও সচেতন হতে হবে।

ইসলামী কানুন বস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মাওলানা আবু তাহের জিহাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা ড. খলিলুর রহমান মাদানী, ড. মুফতি আবু ইউসুফ খান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও নর্দান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর মাহবুবুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান, মাও. রফিকুল ইসলাম মিয়াজি, ড. মুফতি জাকারিয়া নুর, অধ্যক্ষ মুফতি মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকে।

এমআইএস/আরএডি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।