তিনটি বেকারী ও মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা


প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৬

রাজধানীর তুরাগ ও উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি বেকারী ও মিষ্টান্ন তৈরীকারী প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ৫-এপিবিএন ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।

বৃহস্পতিবাপর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এপিবিএন-৫ এর অপারেশন টীম এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে বিপুল পরিমান ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট, কেক, ঘি, দই ও মিষ্টি ধ্বংস করা হয়।


অভিযানে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই অপরিচ্ছন্ন, নোংরা পরিবেশে খাদ্য দ্রব্য প্রস্তুত ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করায় এ জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট  তৌহিদ এলাহী।

৫-এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার এ.এস.এম. হাফিজুর রহমান জানায়, এয়ারপোর্ট সংলগ্ন বাউনিয়ায় একতা বেকারী এবং শাহজালাল বেকারী দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই নোংরা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ছাড়াই বেকারী পণ্য প্রস্তুত করছিল।

এসব বেকারীতে নিমন্মানের আটা, ময়দা এবং চিনির পরিবর্তে সোডিয়াম সাইক্লোমেট বা ঘন চিনি দিয়ে কেক, বিস্কুট ও বেকারী পণ্য তৈরী হতো।

অভিযান পরিচালনাকালে এসব কারখানায় তেলাপোকা, ইঁদুর ও বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় দেখা গেছে।

আবার তুরাগ এলাকায় বিক্রমপুর/সৌরভ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে অভিযানকালে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের লাল, নীল ও বেগুনী রংয়ের টেক্সটাইল কালার। এগুলো মূলত কাপড় তৈরীতে ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানটি বনস্পতি দিয়ে খাঁটি গাওয়া ঘি তৈরী করে আসছিল। যা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের বিষাক্ত উপাদান দিয়ে মিষ্টি, দই, ঘি এবং লাড্ডু তৈরী করে আসছিল।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তৌহিদ এলাহী জানান, বিএসটিআই আইন ও ভোক্তা অধিকার আইনে একতা বেকারী মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, শাহজালাল বেকারী মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বিক্রমপুর সুইটসের মালিককে দুই লক্ষ টাকা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।  

এমইউ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।