‘শেখ হাসিনার অবদানের তথ্য সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে’
দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রতিটি অবদানের তথ্য ছড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশকে একটি প্রকৃত কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার সব অবদান সবাইকে জানাতে হবে। তার উন্নয়নের কথাগুলো দেশের সব মানুষকে জানাতে হবে।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড۔ সেলিম মাহমুদ মঙ্গলবার তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব নেতা সাংগঠনিক সফরে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যান, যেসব নেতা ও বুদ্ধিজীবী বিভিন্ন টেলিভিশন টকশো ও সেমিনার-কনফারেন্সে যান, তাদের জন্য তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির পক্ষ থেকে আমরা শেখ হাসিনার নানা উন্নয়ন ও অবদানের তথ্য সম্বলিত খসড়া প্রস্তুত করছি।
তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই প্রচারণা চালালে চলবে না, এদেশের প্রতিটি নাগরিক শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুবিধাভোগী। উন্নয়নের কথা প্রচার করা তাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, আমি সমালোচকদের বলবো, আপনারা গ্রামে গিয়ে দেখে আসেন কেন আওয়ামী লীগ ভোট পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সমর্থন আওয়ামী লীগের পক্ষে দিন দিন বাড়ছে। স্থানীয় নির্বাচন, মেয়র নির্বাচনগুলোতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কৃষক-শ্রমিকের জন্য শেখ হাসিনা কী করেছেন- সে কথা আমরা সবাই জানি। এইগুলো প্রচার করতে হবে। যাদের জমি-ঘর কিছুই ছিল না, শেখ হাসিনার সরকার তাদের ঘর, ফ্রিজ, টেলিভিশন, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, ফ্যান সব দিয়েছে।
ড. সেলিম বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রতি বাড়িতে বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, স্যানিটারি ল্যাট্রিন, খাদ্য, বিনা পয়সায় পুস্তক, ওষুধ, বৃত্তি, ভাতা, রাস্তা, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন সবই দিয়েছে। আমাদের কাছে গ্রামের এসব বাড়ির ছবি রয়েছে। এই ছবিগুলোও প্রচার করতে হবে। জনগণের জন্য কাজ করলে জনগণ ভোট দেয়। আওয়ামী লীগ সে কারণেই এতো বছর ক্ষমতায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা একমাত্র নেতা যিনি ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সাথেও যোগাযোগ রাখেন। তিনি নিজেই তাদের খোঁজখবর নেন। শেখ হাসিনার কারণে নিঃস্ব-রিক্ত মানুষ ঠিকানা পেয়েছে। মানুষের জীবন কীভাবে পাল্টে উন্নত করা যায় এটা একটা দৃষ্টান্ত। আমাদের নেত্রী মানুষকে পর্যায়ক্রমে ঘর করে দিচ্ছেন। তিনি বেঁচে থাকলে একজন মানুষও ঠিকানা বিহীন থাকবে না। এটিই জাতির পিতার ইচ্ছে ছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আজ দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের সব অর্জনকে ষড়যন্ত্রকারীরা আজ নস্যাৎ করতে চায়। দেশবিরোধী এ ষড়যন্ত্রের কথা দেশের মানুষকে জানাতে হবে।
সভায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি এরইমধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। আরও নতুন নতুন ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারণা চালাতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপ-কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. শামসুর রহমান, প্রফেসর ড. জাহানারা আরজু, ব্যারিস্টার সৌমিত্র সর্দার, নাজমুল তুহিন, আরিফুল ইসলাম টিপু, মোয়াজ্জেম হোসেন কাওসার, নুরুল ইসলাম মজুমদার, মনিরুজ্জামান শেখ, আবুল ফজল রাজু, রুবাইয়াৎ রাকিব, সিতুল মুনা, আরিফুল ইসলাম টিপু, দিলরুবা ইয়াসমিন, আবু সায়ীদ খান, ড. শবনম জাহান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী পাটোয়ারী ও ফাহিম শাহরিয়ার প্রমুখ।
এসইউজে/এমকেআর/জেআইএম