নানান সমীকরণে না’গঞ্জে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

সাঈদ শিপন
সাঈদ শিপন সাঈদ শিপন , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নারায়ণঞ্জ নগর ঘুরে
প্রকাশিত: ০১:২৯ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকার প্রার্থী ও দুইবারের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যে

সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় এখন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ। ঢাকার পার্শ্ববর্তী এই সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুইবারের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এবারের নির্বাচনে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

তারা বলছেন, নির্বাচনের মাঠে ব্যক্তি ইমেজে সেলিনা হায়াৎ আইভী অনেক এগিয়ে। তাছাড়া টানা ১০ বছর মেয়র থাকায় তিনি নগরীর উন্নয়নে বেশকিছু কাজ করেছেন। তবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ আইভীকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলছে। পাশাপাশি তৈমূরকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন রয়েছে তার পক্ষে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কিছু অংশ এবং বিএনপি ও নৌকা বিরোধীপক্ষের ভোট পড়তে পারে তৈমূরের ব্যালটে। ফলে ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল যে কারও পক্ষে যেতে পারে।

তারা আরও বলছেন, সেলিনা হায়াৎ আইভী সাহসী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুব সহজে মিশতে পারেন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়। যার ওপর ভিত্তি করে ২০১১ এবং ২০১৬ সালে মেয়র নির্বাচিত হন আইভী। কিন্তু এবারের নির্বাচন পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার আইভীকে নৌকাবিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের একটি অংশের বিপক্ষেও লড়াই করতে হবে।

স্থানীয়দের অভিমত, নির্বাচনের মাঠে দলীয় প্রার্থী না থাকলেও বিএনপি এবং জামায়াতের সমর্থকদের ভোট তৈমূরের পক্ষে যেতে পারে। পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের বড় অংশের ভোটও যেতে পারে তৈমূরের ব্যালটে। অন্যদিকে শামীম ওসমান নৌকার পক্ষে থাকার ঘোষণা দিলেও তার অনুসারীদের একটি অংশ শেষ পর্যন্ত এই অবস্থানেই থাকবে কি না তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। যদিও বিগত দুবারের নির্বাচনে সব সমীকরণকেই ধুলোয় মিশিয়ে আইভী ব্যক্তিগত ‘ইমেজ’র জাদুবলে উতরে গেছেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, ওয়ার্ডগুলোতে মেয়রপ্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা তুলনামূলক কম। মূলত ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাই চলছে বেশি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ঘরানার একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। ফলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মীরা মেয়র প্রার্থীর বদলে পছন্দের কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণা চালাচ্ছেন। দলীয় প্রার্থী না থাকায় বিএনপি কর্মীরা অনেকটাই নীরব ভূমিকা পালন করছেন। এমনকি কোথাও কোথাও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারের ভিড়ে মেয়র প্রার্থীর পোস্টার চোখেই পড়ছে না।

jagonews24নারায়ণগঞ্জ এখন যেন পোস্টারের নগরী/ছবি: জাগো নিউজ

নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া মোড়ে কথা হয় চায়ের দোকানি মো. ফয়েজের সঙ্গে। সাত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় চা বিক্রি করা ফয়েজ বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন পরিস্থিতি গতবারের তুলনায় এবার ভিন্ন। আইভী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন, এটা গতবার নির্বাচনের আগেই বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু এবার আইভী নাকি তৈমূর— কে পাস করবেন বলা মুশকিল। দুজনের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

তিনি বলেন, আইভী সাধারণ মানুষের কাছে এখনো জনপ্রিয়। তার ইমেজ খুব ভালো। গতবার আইভী ৮০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের সবাই আইভীর পক্ষে ছিল। কিন্তু শামীম ওসমানের সঙ্গে এবার তার বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। যে যাই বলুক নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে শামীম ওসমান একটা বড় ফ্যাক্ট। সুতরাং আইভীর জন্য এবার বিজয়ী হওয়া কঠিন হবে।

২০১১ সালে দেশের কোনো সিটি করপোরেশনে প্রথম নারী মেয়র হয়েছিলেন আইভী। সেবার নির্দলীয় ভোটে দলীয় নেতাদের সমর্থনপুষ্ট এ কে এম শামীম ওসমানকে এক লাখের বেশি ভোটে হারান তিনি। পরের বার ২০১৬ সালে বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে প্রায় ৮০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন আইভী। এবার তৃতীয় বারের মতো মেয়র হওয়ার লক্ষ্যে ভোটের মাঠে নেমেছেন তিনি।

ভোটের মাঠে নেমে শামীম ওসমানের সঙ্গে বিরোধেও জড়িয়ে পড়েন আইভী। শামীম ওসমানের অনুসারীরা তৈমূরের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে রোববার (৯ জানুয়ারি) এক নির্বাচনী প্রচারণায় শামীম ওসমানকে গডফাদার উল্লেখ করে আইভী বলেন, আমার নারায়ণগঞ্জের জনগণ কখনো কোনো সন্ত্রাসী, গডফাদার, চাঁদাবাজ, খুনিকে গ্রহণ করেনি, করবেও না। নারায়ণগঞ্জে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। শামীম ওসমানকে গডফাদার উপাধি আমি দেইনি। এটা তার গত ৩০ বছরের উপাধি, শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, সারাদেশের মানুষ তা জানে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় একটি দল। এখানে সবার স্থান আছে। জনপ্রিয় মানুষের স্থান আছে, তেমনি বিতর্কিত মানুষেরও স্থান আছে। সব দলের মধ্যেই সবাই থাকে। আওয়ামী লীগ একটি বিশাল জনসমুদ্র, এখানে যে টিকে থাকার সে টিকবে, যে চলে যাওয়ার সে চলে যাবে।

আইভীর এমন বক্তব্যের পর নিজের অবস্থান প্রকাশ করতে সোমবার (১০ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করেন শামীম ওসমান। সেখানে তিনি বলেন, কোনো দল-মতের কারণে আমি রাজনীতিতে আসিনি। রাজনীতি করতে এসেছি জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে। রাজনীতি করতে এসেছি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে। আমি নৌকার বিরুদ্ধে নই, নৌকা প্রতীক আমাদের রক্ত দিয়ে কেনা প্রতীক। আজ থেকে নৌকার হয়ে মাঠে নামলাম

তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই আমাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। নির্বাচনের সময় আমি কেন সাবজেক্ট ম্যাটার (আলোচনার বিষয়) হবো, জানতে চাই। এখন আমার অবস্থা গরিবের ভাবির মতো। ও বলে আমি তার, সে বলে আমি তার।

jagonews24নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে অন্যতম বড় ফ্যাক্টর সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, গতকাল সোমবার তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন/ছবি: জাগো নিউজ

শামীম ওসমান আরও বলেন, সামনে যেদিন আসছে, কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। ছাত্রলীগের মনে কষ্ট দিয়েন না। দুঃসময়ে তারাই এগিয়ে এসেছিল। নির্বাচন ধমক দিয়ে হয় না। একে অপরকে দোষারোপ করে নির্বাচন হয় না। সব রাগ অভিমান ছেড়ে দিয়ে কাজ করতে হবে। সবার ঘরে ঘরে যেতে হবে। এই ঘাঁটি নৌকার, এ মাটি আওয়ামী লীগের। জয় আমাদের হবেই।

তিনি বলেন, আমরা যখন জাগবো অন্যরা তখন ঘুমাবে। আমাদের রক্ত মুক্তিযোদ্ধার রক্ত। বঙ্গবন্ধু আমাদের শেষ ঠিকানা। আমি কারও সামনে মাথা নত করি না। আমি নিজেই ঝড়, এই ঝড় কারও সামনে মাথা নোয়ায় না।

আপনাকে গডফাদার কেন বলা হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, কারও ইচ্ছা হলে গডফাদার বলে, বলতে পারে। কেউ ব্রাদার বলতে চাইলে বলতে পারেন। আবার ফাদার বললে বলতে পারেন, তবে মাদার বলবেন না। তবে কে কী বললো আমি কেয়ার করি না। কেউ কিছু বলে শান্তি পেলে বলুক, বলতে দেন। আমি নীলকণ্ঠের মতো, সব হজম করতে পারবো।

সংবাদ সম্মেলন করে শামীম ওসমান নৌকার পক্ষে নামার ঘোষণা দিলেও স্থানীয়রা মনে করছেন, ভোটের মাঠে আইভী আসলে শামীম ওসমান অনুসারীদের সমর্থন পাবেন না। তারা বলছেন, শামীম ওসমান নৌকার পক্ষে নামার ঘোষণা দিয়েছেন, কিন্তু একবারের জন্যও আইভীর নাম উল্লেখ করেননি। তিনি হয়তো দলীয় চাপে নৌকার পক্ষে থাকার কথা বলছেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন একটি হোটেলের কর্মী ছায়েদুর বলেন, সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান যাই বলুন তার সমর্থন আইভীর পক্ষে যাবে না। সুতরাং এবারের নির্বাচনের মাঠে আইভীকে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, ব্যক্তি আইভী এখানে তুমুল জনপ্রিয়। কিন্তু এবারের ভোট নৌকা বনাম অ্যান্টি নৌকা হবে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ঘরানার বাইরে যারা তাদের ভোট তৈমূর পাবেন। আবার শামীম ওসমান অনুসারীদের বড় অংশের ভোটও পাবেন তৈমূর। সুতরাং ভোটের ফলাফল আইভী ও তৈমূর যে কারও পক্ষে যেতে পারে। তবে দলীয় প্রতীক ছাড়া ভোট হলে এখানে তৈমূরের বিপক্ষে আইভী অনায়াসে জিতে যেতেন।

প্রায় একই ধরনের কথা বলেন ওই এলাকার বাসিন্দা মো. সাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতবার আইভী আপার কাছে বিএনপির প্রার্থী ৮০ হাজার ভোটে হেরেছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের সবাই আইভী আপার পক্ষে ছিল। এবার কিন্তু একটা অংশ থাকবে না, সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আর দলীয় প্রার্থী অংশ না নিলেও বিএনপি ও জামায়াতের অনুসারীরা এবার ভোট দিতে যাবেন এটাও স্পষ্ট। বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকরা কোনো অবস্থায় নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন না। সুতরাং এবারের ভোটের হিসাব-নিকাশ বেশ জটিল।

তিনি বলেন, সারাদেশেই এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের বড় অংশ হেরে গেছে। এর প্রধান কারণ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে লড়াই করেছে আওয়ামী লীগের লোকজনই। বিএনপি ভোটে অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগ বিরোধীরা বিনা বাধায় ভোট দিতে গেছে। ফলে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকা বিরোধী পক্ষের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি অংশের সমর্থও পেয়েছেন। ফলে নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হেরে গেছে। নারায়ণগঞ্জে বিএনপি দলীয়ভাবে প্রার্থী না দিলেও তৈমূর তাদেরই লোক। সুতরাং বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতের ভোট নীরবে তৈমূরের পক্ষে পড়বে।

বন্দর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরেও ভোটারদের কাছ থেকে প্রায় একই ধরনের অভিমত পাওয়া যায়। বন্দর থানার আওতাধীন ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গলিতে কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার ঝুলছে। এ ওয়ার্ডগুলোতে মেয়র প্রার্থীদের পোস্টার খুব একটা চোখে পড়েনি।

jagonews24মেয়র প্রার্থীদের চেয়ে নারায়ণগঞ্জ নগরে এখন কাউন্সিলর প্রার্থীদেরই পোস্টার বেশি দেখা যাচ্ছে/ছবি: জাগো নিউজ

এ বিষয়ে ২২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হযরত আলী বলেন, এখন আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে চিন্তা করছি। কীভাবে আমাদের প্রার্থীকে বের করে আনা যায়, সেটা এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। মেয়র প্রার্থী নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। মেয়র যেই পাস করুক আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

এই ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা সুলতান আহমেদ বলেন, ২২ নং ওয়ার্ডে প্রায় ৩০ হাজার ভোটার। এখান থেকে নৌকা (আইভী) এবং হাতি (তৈমূর) যে কেউ পাস করতে পারে। সিটি করপোরেশন থেকে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ব্রিজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আইভী। কিন্তু সেই ব্রিজ বাস্তবে রূপ নেয়নি। যে কারণে এবার এখান থেকে আইভীর ভোটারদের একটি অংশ তৈমূরের পক্ষে চলে যেতে পারে। আবার শামীম ওসমানকে গডফাদার বলার কারণেও আইভীর ভোট নষ্ট হবে।

‘অন্যদিকে তৈমূর বিএনপি নেতা। দলীয়ভাবে তাকে মনোনয়ন দেওয়া না হলেও বিএনপি-জামায়াতের লোক তার পক্ষে রয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত কোনো অবস্থায়ই এবার নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে না। আসলে মনে হচ্ছে বিএনপি কৌশল করে তৈমূরকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। তাকে কিন্তু দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সাধারণ মানুষের একটি অংশের সিমপ্যাথি পাচ্ছেন তৈমূর। সুতরাং এবার নারায়ণগঞ্জ থেকে তৈমূর পাস করলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই’—বলেন সুলতান আহমেদ।

এমএএস/কেএসআর/এইচএ/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।