উত্তম চরিত্রের মৌলিক গুণ


প্রকাশিত: ০৬:০০ এএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬

সমগ্র বিশ্বে শান্তি ও শৃংখলা কেবল তখনই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে যখন সমাজ হবে সুন্দর ও মনোরম। আর সমাজকে ভালো করতে হলে উত্তম আচার-আচরণ শিক্ষা দেয়া অপরিহার্য। এ কারণেই সকল ধর্মের বুনিয়াদ স্থাপিত হয়েছে উত্তম চরিত্রে উপর। তাইতো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি প্রেরিত হয়েছি উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা বিধানের জন্য।`

উত্তম চরিত্র পরিচয় ও গুণাবলী
হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী উত্তম গুণাবলীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, ‘আপনি অপরের সঙ্গে এমন আচরণ করবেন, যাতে মনে হবে আপনি তার বন্ধু এবং নিজের শত্রু। সুতরাং নিজের কাছ থেকে জোরপূর্বক অন্যের অধিকার আদায় করে দিন এবং নিজের জন্য অধিকার আদায়ের দাবি হতে বিরত হোন, তা সে অধিকার যত ন্যায়সঙ্গত হোক।

চারটি মৌলিক গুণের উপর উত্তম চরিত্রের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। এ মৌলিক গুণে ভারসাম্য সৃষ্টি হলে মানুষের মাঝে উত্তম চরিত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে। অন্যথায় সে কুটিলতা ও চরিত্রহীনতার শিকার হয়। গুণগুলো হচ্ছে-

ক. জ্ঞান ও প্রজ্ঞা
খ. বীরত্ব ও সাহসিকতা
গ. ন্যায় ও ইনসাফ
ঘ. পবিত্রতা ও নিষ্কলুষতা

এছাড়াও অপরের প্রতি ক্ষমা ও মার্জনা, উদারতা ও দানশীলতা, ধৈর্য ও সহ্য, দয়া ও মমতা, ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য, বিনয় ও নম্রতা এবং অন্যের প্রয়োজন মেটানোর মনোবৃত্তি ইত্যাদি গুণে ব্যক্তির গুণান্বিত হওয়ার মাধ্যমেই গঠিত হয় উত্তম চরিত্র।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা উপরোক্ত গুণগুলো আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।