অনিদ্রার জন্য দায়ী যে খাবারগুলো


প্রকাশিত: ০৬:০৭ এএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৬

সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরে একটু সুখনিদ্রা কে না চায়। কিন্তু ঘুম যেন মাঝে মাঝে নারীহৃদয়ের মতো আচরণ করে। শত সাধনাতেও ধরা দিতে চায় না! ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা, মানসিক নানা চাপের কারণে এমনটা হতে পারে। তবে ঘুম না আসার জন্য যে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকাও দায়ী হতে পারে, তা কখনো ভেবেছেন? চলুন জেনে নিই কোন খাবারগুলো রাতের খাবারে থাকলে সারা রাত আপনাকে না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিতে হতে পারে-

চকোলেট: মিল্ক চকোলেট বা চকোলেটে থাকা রাসয়নিক হার্ট বিট বাড়িয়ে তোলে। তার ফলে ঘুম আসতে চায় না।

মশলাদার খাবার: মরিচ বা সর্ষে বাটা দেয়া খাবার রাতে না খাওয়াই ভালো। মরিচ আর সর্ষে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রসুনকে ‘হট হার্ব’ বলা হয় যা খেলে গ্যাস্টিক আর বুক জ্বালার সমস্যা হতে পারে।

গ্রিন টি: যদিও গ্রিন টির অনেক উপকার আছে কিন্তু ঘুমের খুব ক্ষতি করে গ্রিন টি। তার জন্য দায়ী গ্রিন টি-তে থাকা রাসায়নিক।

আইসক্রিম বা ডেজার্ট: রাতে আইস ক্রিম বা অন্য কোন ডেজার্ট এড়িয়ে চলা উচিত। এতে হাই ফ্যাট আর প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই ঘুমুতে যাওয়ার আগে খেলে আপনার শরীর ফ্যাট বার্ন করে উঠতে পারবে না ফলে আপনি রেস্টলেস হয়ে উঠবেন। এছাড়া শুতে যাওয়ার আগে এসব খাবার খেলে ঘুম গাঢ় হবে না।

চিকেন (প্রোটিন): চিকেনে হাই প্রোটিন আছে, তাই রাতের খাবারে যদি চিকেন খান বা যে কোনও হাই প্রোটিন খাবার খান তাহলে শরীরে প্রচুর এনার্জি তৈরি হবে। তাতে শরীর শান্ত হওয়ার বদলে উত্তেজিত হয়ে যাবে। এছাড়া হাই প্রোটিন আর ফ্যাট যুক্ত ডায়েটের জন্য ঘুমের সময় নানারকম শারীরিক সমস্যা হয়।

চিজ: চিজে থাকা রাসায়নিক ব্রেনকে স্টিমুলেট করে আর আপনাকে সারা রাত জাগিয়ে রাখতে পারে। কারো কারো মাইগ্রেনের সমস্যাও দেখা দিতে। ঘুমোতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে অন্তত ডিনার সেরে ফেলার চেষ্ট করুন।

ওয়াইন: যদিও ওয়াইন খেলে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে কিন্তু একটু পরে মাথাব্যথা, প্রচণ্ড ঘাম, হতে শুরু করবে। তাই যদি ওয়াইন খেতেই হয় তাহলে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে তা পান করুন। আর প্রচুর পানি খান যাতে ওয়াইনের এফেক্ট দূর হয়ে যায়।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।