লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ


প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০১৬
প্রতীকী ছবি

পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৮ নেতাকর্মী আহত হন। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ৪-৫টি দোকান ভাঙচুর করেন।

শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এমরান হোসেন বাচ্চু ও পৌর কমিটির সভাপতি সোহেল চৌকিয়ার গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা এরমান হোসেন বাচ্চুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ নিয়ে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান করছেন। যেকোনো সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। এমরান হোসেন বাচ্চু পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে হেরেছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আহসান হাবীব নির্বাচিত হন।

ছাত্রলীগ নেতা সোহেল চৌকিয়া নির্বাচনে আহসান হাবীবের হয়ে কাজ করেছেন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ৯টার দিকে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ও আশাপাশের এলাকায় এমরানের অনুসারীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছেন।

সংঘর্ষে দেলোয়ার হোসেন, শাহিন, রুবেল হোসেন, মামুন আলো, শামিমসহ উভয়পক্ষের আটজন আহত হন। তাদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেনকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ কাজ করছে।

কাজল কায়েস/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।