আতশবাজিতেই বর্ষবরণ
কালের অমোঘ নিয়মে ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে ২০১৫ সাল। পুরো বিশ্ব স্বাগত জানাচ্ছে ইংরেজি নববর্ষ ২০১৬ সালকে। বাংলাদেশজুড়েও চলছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে এ বছর খোলা আকাশের নিচে বড় ধরনের কোনো অনুষ্ঠান না করতে পারলেও আতশবাজিই ছিল ঢাকাবাসীর বর্ষবরণের অন্যতম মাধ্যম। যদিও আতশবাজিও নিষিদ্ধ ছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় আতশবাজি, হৈ হুল্লোড়, চিৎকার চেঁচামেচিতে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করলো তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ভরা পবিত্রতার অবয়বে ঘেরা প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত দেশের সর্বশেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), স্মৃতি চিরন্তণ, কার্জন হলসহ ছেলেদের বেশ কয়েকটি হলে আতশবাজির মাধ্যমে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করা হয়। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে শুধু আতশবাজি আর হৈ হুল্লোড়ের চিত্র দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ক্যাম্পাসের প্রবেশ মুখগুলো বন্ধ করে দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডিকার্ডধারীরা ছাড়া বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেননি। এর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বহিরাগতদের সন্ধ্যা ৬টা থেকে ক্যাম্পসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং রাত ৮টার মধ্যে আবাসিক সকলকে বাসায় ফিরতে বলা হয়। কিন্তু রাত ৮টার পরও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আড্ডা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
রাত ১২টায় টিএসসিতে বর্ষবরণের সময় প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থী উপস্থিতি দেখা গেছে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। নিরাপত্তা জোরদারে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
পুলিশ ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দাদের সঙ্গে ছিল সোয়াটের একটি টিম। এরা টিএসসিতে অবস্থান নেয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবেলায় ছিল ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট।
এমএইচ/বিএ