সরকারের পতনের পর তারেককে দেশে আনা হবে
সরকারের পতন ঘটিয়ে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৩৫ বছর ধরে বেগম জিয়ার হাতে থাকা গণতন্ত্রের পতাকা এখন তারেক রহমানের হাতে। সরকারের পতন ঘটিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ১৬ কোটি মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে গণতন্ত্র, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্বের পতাকা ধরেছেন তারেক রহমান। তার পিতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন। তার মা খালেদা জিয়ার হাত ধরে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই ষড়যন্ত্রকারীরা ভেবেছে তাদের পুত্র তারেক রহমান গণতন্ত্রের ঝাণ্ডা ধরবেন, সেজন্যই ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদশকে পদানত ও আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে নতি স্বীকারের জন্য ১/১১ এর সময়ে তারেককে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে নিয়ে যতই ষড়যন্ত্র হোক, যতোই মামলা দেওয়া হোক, ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না। এদেশের জনগণ কোনো দিন এ চক্রান্ত মেনে নেবে না।
বিএনপির এই শীর্ষনেতা অভিযোগ করে বলেন, তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে তার নামে ১৩টি মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করে বারবার রিমান্ডে নিয়ে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল। সেই ষড়যন্ত্র থেমে নেই। কিন্তু জনগণ এ চক্রান্ত রুখে দেবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ বলেন, তারেক রহমান ক্ষমতায় না গিয়েও জনগণের কাছ থেকে দেশনায়ক স্বীকৃতি পেয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোস্তাহিদুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস প্রমুখ।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।