হবিগঞ্জে ব্যালট পেপার ছিনতাই : হামলা ও ভাঙচুর
হবিগঞ্জ পৌরসভার পাঁচটি কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপার ছিনতাই, হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
বর্তমানে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুপুরের পর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সকাল থেকে জেলার পাঁচটি পৌরসভায় ৫৭টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। ভোটারদের মাঝেও ছিল বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা। তীব্র শীত উপেক্ষা করে শুরু থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন ছিল ভোটারদের। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ চিত্র পাল্টে যায়।
জেলা সদরে পৌর এলাকায় ১৮টি কেন্দ্রের মাঝে একমাত্র নিরাপদ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। জেলা পরিষদ ভবন কেন্দ্রে বেলা ১২টায় ঢুকে পড়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিমের সমর্থকরা। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা সেখানে গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। হাঙ্গামাকারীরা সাংবাদিকদের বেদম মারপিট করে।
এ সময় লাঞ্ছিত করা হয় ৭১ টিভির স্টাফ রিপোর্টার ফারহানা রহমান, আহত হন ক্যামেরাপারসন আলী হোসেন রিপন ও জেলা প্রতিনিধি শাকিল চৌধুরী। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও হাঙ্গামাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ ও পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হন অন্তত ১৫ জন।
কিছুক্ষণ পরই বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলে নেয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন। তারা ব্যালট পেপার ছিনতাই, প্রিসাইডিং অফিসারের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। তখন প্রচুর জাল ভোট দেয়া হয়। এরপর একে একে পিটিআই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাউছিয়া একাডেমি ও হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। এ সময় শহরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বাকি চারটি পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে ইমতিয়াজ আহমেদ শাওন (২৫) ও তৌহিদুল ইসলাম জুয়েলকে (২২) ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এআরএ/পিআর