১৫৭ পৌরসভায় কারচুপির অভিযোগ বিএনপির
১৫৭টি পৌরসভার কোথাও সবগুলো কোথাও আশিংক কেন্দ্র দখল করে সরকার দলের ক্যাডাররা ভোট ডাকাতি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুর কবির রিজভী।
বুধবার বিকেল পৌনে তিনটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌর নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় দফা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, এমন একটি দেশে বাস করছি যে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না। সরকার দলীয় ক্যাডাররা বিরোধী মত ও প্রার্থীদের ক্ষত বিক্ষত করে ভোট ডাকাতি করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমরা আগাম যে আশঙ্কা করেছিলাম তাই সত্য হলো। নির্বচানের আগেই সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব জেলায় ভোট নেই সেখানের নেতাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোটের দিন সরকারের নীল নখশা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, সহিংস, রক্তাক্তার মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন জাতিকে নির্বাচন কমিশন উপহার দিয়েছে তা জাতি গ্লানি ভরে মনে রাখবে।
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, গাজীপুরে শ্রীপুরে পৌরসভার মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কেওয়া পশ্চিম খন্ড, উজিলাবর, শ্রীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ, নরসংদী, কানাইঘাট, বগুড়া, টাঙ্গাইলসহ বেশ কয়েকটি পৌর এলাকার নাম উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করতে আসেনি। সরকার প্রধানের আজ্ঞাবাহ হিসেবে নিজেদের চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য ভোটার বিহীন সরকারকে খুশি করার জন্য তারা নির্বাচন করেছে। তারা যদি সাংবিধানিক দায়িত্বপালন করতেন তাহেল সাতকানিয়ায় যুবদলের নেতাকে নিহত হতে হতো না। এই সরকার জনগণকে তোয়াক্কা করে না। জনগণকে পরিত্যাগ করেছে।
নির্বাচনে কারচুপির বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি দেয়া হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, নির্বাচন পরবর্তি কর্মসূচি নিয়ে রাতে গুলশান কার্যালয়ে আলোচনা করে সিনিয়র নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচন বর্জন না করার জন্য। যেখানে ব্যপাক কারচুপি হয়েছে সেখানে পুনরায় ভোটের দাবি করেন তিনি।
এনএম/এসকেডি/পিআর