সাঈদীর ফাঁসির রায় দিয়ে কার্যকর করা হোক: ডা. মুরাদ
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ‘যুদ্ধাপরাধীদে’র শিরোমণি আখ্যা দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, পাকিস্তানী মদদপুষ্ট যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি সেই গোষ্ঠীর অন্যতম সাঈদী। সাঈদী দেশ-সভ্যতা ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এদেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় জেলখানায় যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আপ্যায়ন করানো মেনে নেওয়া যায় না। তাকে যত দ্রুত সম্ভব ফাঁসির রায় দিয়ে তা কার্যকর করা হোক।
সোমবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) সভাকক্ষে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রে সামাজিক সচেতনতা’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দেশপ্রেম, দেশের জন্য তার ত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে চলচ্চিত্র অন্যতম মাধ্যম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ খ্যাত দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বলে উল্লেখ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশের। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবের পথে।
সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সত্যজিৎ রায় এমন একজন নির্মাতা, যার সিনেমা শুধু বাংলা ভাষাভাষী মানুষকেই অনুপ্রাণিত করেনি, শক্তি যুগিয়েছে বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদেরও। তার চলচ্চিত্র আজও আমাদের শিহরিত করে। সত্যজিৎ রায়ের দেখানো পথ ধরেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। যে চলচ্চিত্র দেশের কথা, সমাজের কথা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মো. আবুল কালাম আজাদ।
সেমিনারে পেপার উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিরা জুনাইদ। আরও আলোচনা করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক মানজারে হাসীন মুরাদ, শিল্প সমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ ও শামীম আখতার।
আইএইচআর/জেডএইচ/জিকেএস