নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বাড়ি বাড়ি অভিযান!
শেরপুরে বিশেষ অভিযানে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাতে তাদের তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতাররা হলেন, শহরের বটতলা এলাকার আমিনুল হক বাবুল, শেখহাটি এলাকার মফিজুর রহমান, চকপাঠক এলাকার রেজাউল করিম, রাজবল্লভপুর এলাকার লালু মিয়া, খরমপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম মানিক, ও ইমান আলী।
শেরপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম জাগো নিউজকে জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেছেন, যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারা আমাদের দলীয় প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক আশীষের বিভিন্ন কেন্দ্রের নির্বাচনী এজেন্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের নামে বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং বাড়ি-ঘর ছাড়া করা হচ্ছে। ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তারা এমন অভিযোগ করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক আশীষ অভিযোগ করে জাগো নিউজকে বলেন, হঠাৎ অজ্ঞাত নির্দেশে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পুলিশ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সোমবার রাতে শেরপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোনো প্রকার মামলা কিংবা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ধানের শীষের এজেন্ট বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। আমরা অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। অনেকের বাড়িতে হানা দিয়ে গালিগালাজ করা হয়েছে।
তিনি নবীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীনগর আদর্শ বিদ্যাপীঠ, রাজবল্লভপুর, কান্দাপাড়া, ঢাকলহাটি, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমিসহ নয়টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে, সেসব কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করা হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদুল হক রুবেল জাগো নিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এবং নারী সাংসদ সদস্য ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী নির্বাচনের সময় এলাকায় অবস্থান করে আচরন বিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। তারা দলীয় প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনে নানা অপকৌশল করছেন।
তিনি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সুষ্ঠুভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। অন্যথায়, পরিণতি ভালো হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হযরত আলী, সাইফুল ইসলাম স্বপন, শহর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হাকিম বাবুল/এমজেড/আরআইপি