নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডে বিএনপিকে গতানুগতিক অভিযােগ করতে হচ্ছে


প্রকাশিত: ০৮:০১ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

বিএনপির অভিযোগ গতানুগতিক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন,  তিনি ঠিকই বলেছেন। কারন বিগত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগর স্বার্থে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে যে নির্বাচনগুলো একের পর এক নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করে আসছে সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপিকেও গতানুগতিক অভিযােগ করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া তাে দূরে থাক, নরম ধরণের পদক্ষপ গ্রহণেও নির্বাচন কমিশন অপারগতা প্রকাশ করছেন। নির্বাচন কমিশনের এই সমস্ত ভূমিকা কুকীর্তি হিসেবে বর্ণিত হওয়া ছাড়া আর কোন অভিধান প্রয়োগ করা যায় কি না তা আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, শাসকদলের প্রতি নির্বাচন কমিশনের আত্মবিক্রয়ের আনুগত্যের কারণেই ২০১৪ সালর ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন, গত বছরের উপজেলা নির্বাচন, এ বছরের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পারেশন নির্বাচনে যে তামাশা জনগণ দেখেছে, সেটি নির্বাচন কমিশনের গতানুগতিক আচরণ বলে জনমনে সুস্পষ্ট ধারণা জন্মেছে। কারণ শাসকদলের গতানুগতিক আচরণেই হচ্ছে প্রতিপক্ষের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, আগুন, গাড়ী বহরে গুলি ও ভাংচুর, বিএনপি, অন্যান্য বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা, হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা-যা কমিশনের গতানুগতিক শৈথিল্যের কারণেই ঘটে এসেছে।

রিজভী বলেন, এবারও সেই কমিশন একই গতানুগতিক আচরণ করছেন শাসকদল ও প্রশাসনের তাণ্ডবের ডালপালা বিস্তারের মধ্যে।

বিএনপির অভিযোগ সত্য নয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, আ. লীগ যখন বলে বিএনপি মিথ্যা বলছে তখন দেশবাসী মনে করে বিএনপির বক্তব্য সত্য। আ. লীগ যখন বলে বিএনপি সত্য বলছে তখন তা বিভ্রান্তি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএম/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।