মির্জাপুরে বাড়ছে ভোটারদের দাবি


প্রকাশিত: ০৬:৫৫ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভা নির্বাচনে শেষ দিকের প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রার্থীদের প্রচারণার পাশাপাশি ভোটারদের দাবিও বাড়ছে।

অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এলাকাবাসীর অধিকাংশই সংস্কৃতি ও বিনোদনে ঘেরা মির্জাপুর পৌরসভা দেখতে চাচ্ছেন। তাছাড়া পৌর এলাকার সব বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগের দাবিও করছেন নারী ভোটাররা। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

পৌরসভার পোষ্টকামুরী, সাহাপাড়া ও কুতুব বাজারের বাসিন্দা মোর্শেদা আক্তার, দিপালী বেগম ও সুশীল সাহা বলেন, ‘নতুন মেয়র পৌর এলাকার রাস্তাঘাট আরও উন্নত করার পাশাপাশি বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করবেন এটাই আশা করি।

নতুন ভোটার পোষ্টকামুরী গ্রামের সোহেল মিয়া বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আমি ভোট দিব। নতুন মেয়রের কাছে প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের বিনোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। তাছাড়া ‘জনপ্রতিনিধিদের কাছে মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকে। নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের কথা যাতে তারা মনে রাখেন এরকম লোককেই আমি ভোট দেব।’

মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিশুদের মানসিক বিকাশে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ হওয়া দরকার। এ কারণে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়। শিল্প-সাংস্কৃতি, সাহিত্যে ঘেরা পৌর এলাকার মানুষের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন দেখতে চাই।’

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মির্জাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা বলেন, ‘আমি মির্জাপুরকে আধুনিক পৌর এলাকা হিসেবে গড়তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। সেই সঙ্গে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, গ্যাস, বিদ্যুত ও রাস্তাঘাটের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো।

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহাদৎ হোসেন সুমন বলেন, ‘সংস্কৃতি আর বিনোদনে ঘেরা আধুনিক ডিজিটাল পৌরসভা গড়তে আমি সব সময় সচেষ্ট থাকবো। পৌর এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুতসহ আধুনিক পৌরসভা গড়তে যা দরকার স্থানীয় এমপির সহযোগিতায় পৌরবাসীর জন্য সবই করা হবে।’

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।