হাশরের মাঠের বিবরণ

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

পৃথিবীতে মানবজাতির আগমন একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য। এ সময় আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত। মৃত্যুর মাধ্যমে যখনই মানুষের দুনিয়ার জীবন শেষ হয়ে যাবে, তখনই শুরু হবে আলমে বারযাখ বা কবরের জীবন। যদি সে নেককার বান্দা হিসেবে মৃত্যুবরণ করে তবে সে ভোগ করবে জান্নাতের সুখ-শান্তি। নতুবা ভোগ করবে জাহান্নামের শাস্তি।

অতপর সংঘটিত হবে ক্বিয়ামাত। যেদিন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ব্যতিত সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। পৃথিবীতে যত মানুষের আগমন ঘটেছিল সেদিন সবাইকে বস্ত্রহীন অবস্থায় একত্রিত করা হবে। পরিস্থিতি এতোটাই কঠিন এবং ভয়াবহ হবে যে, কেউ কারো দিকে তাকানোর ফুসরত পাবে না। সেখানে শুরু হবে দুনিয়ার জীবনে সকল কৃতকর্মের হিসাব-নিকাশ।

প্রতিদান দিবসে মহান রাব্বুল আলামিন সমগ্র মানবজাতিকে যে ময়দানে উপস্থিত করে দুনিয়ার জীবনের হিসাব-নিকাশ গ্রহণ করবেন তা কেমন হবে সে সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

Hadith-Inner

হজরত সাহল ইবনু সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ক্বিয়ামাতের দিন মানুষকে সাদা ধবধবে রুটির ন্যায় জমিনের উপর একত্রিত করা হবে। তার মাঝে কারো কোনো পরিচয়ের পতাকা থাকবে না। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

সুতরাং প্রত্যেক মানুষের উচিত আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত পথে এবং মতে জীবন পরিচালনা করে দুনিয়া ত্যাগের পর প্রথম মঞ্জিল কবরের সুখ-শান্তি লাভ করা। ক্বিয়ামাত সংঘটিত হওয়ার পর হাশরের ময়দানে আল্লাহর দিদার লাভের সৌভাগ্য অর্জন করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাশরের মাঠের ভয়াবহতা থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।