ইঁদুর ধরা পড়েছে কি না জানা যাবে ফোনে
ফসল বাঁচাতে সারাদেশে ইঁদুর নিধন নিয়ে যখন কৃষকদের মাঝে হতাশা, তখনই চাঁদপুরের কচুয়ায় অত্যাধুনিক টাচ ডাউনলোড নামে ইঁদুর মারার নতুন মেশিন আবিষ্কার করলেন সিরাজুল ইসলাম। তার এ আবিষ্কৃত মেশিন এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
পরীক্ষামূলকভাবে এ মেশিন বিভিন্ন ফসলী ক্ষেতে ব্যবহার করে ইঁদুর নিধনে ভালো সাফল্য পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। সিরাজুল ইসলামের আবিষ্কৃত মেশিনটি দেখার জন্য প্রতিদিন কৃষকসহ এলাকার লোকজন ভিড় করছেন।
সিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের বড়ইগাঁও গ্রামে তার বাড়ি। বাড়িতে একটি পেয়ারা বাগান রয়েছে। বাগানের পেয়ারা ইঁদুরে নষ্ট করে ফেলে। গাছ থেকে পাঁকা পেয়ারা খাওয়ার সুযোগ হয় না। স্থানীয় ইঁদুর কল দিয়ে ইঁদুর মারাও কঠিন হয়ে পড়ে। অবশেষে এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে নিজ চিন্তায় ইঁদুর মারার একটি মেশিন তৈরির উদ্যোগ নেন।
এভাবে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে কাঁচের গ্লাস দিয়ে অত্যাধুনিক টাচ্ ডাউনলোড নামে ইঁদুর মারার নতুন মেশিন আবিষ্কার করেন। এ মেশিনের সাহায্যে অনেক ইঁদুরও মেরেছেন তিনি। মেশিনের বৈশিষ্ট্য হলো, মেশিনের মধ্যে খাদ্য দিয়ে রাখা হলে ইঁদুর তা খেতে গেলে চুম্বুকের মাধ্যমে ইঁদুরটিকে নিয়ে ফাঁদে ফেলা হয়। এরপর ইঁদুরটির আর বের হওয়ার সুযোগ থাকে না। চুম্বুকের কারণে ফাঁদটি আবার আগের মতো ফিরে আসে। এভাবে ২০/২৫টি ইঁদুর একসঙ্গে ফাঁদে পড়ে মারা সম্ভব হয়।
বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আরো রয়েছে, ইঁদুর ফাঁদে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই মালিকের মোবাইল ফোনে কল যাবে। এভাবে প্রতিটি ইঁদুর ফাঁদে পড়লে কল যাবে মালিকের কাছে। এছাড়া মেশিনটি পরীক্ষামূলকভাবে কাঁচের তৈরি করা হয়েছে। তবে স্বল্প মূল্যে প্লাস্টিক সিট দিয়ে তৈরি করাও যাবে। তাতে ব্যয় হবে ৫শ` থেকে এক হাজার টাকা। কৃষকদের জন্য সহজ মূল্য হবে এটি। এ মেশিনটি ফসলি জমিতে ব্যবহার করলে কৃষকদের লাখ লাখ টাকার ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে।
এদিকে এলাকার বিলাল হোসেন, সোহরাব হোসেন আলী জাগো নিউজকে জানান, মেশিনটি সরকারি উদ্যোগে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা নিলে জমির ফসল ইঁদুর থেকে রক্ষা পাবে। তাই সিরাজুল ইসলামের আবিষ্কৃত ইঁদুর মারার ফাঁদ মেশিনটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার তাকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে দ্রুত বাজারজাত করার ব্যবস্থা নেবে বলে পর্যবেক্ষক মহল আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এমজেড/এমএস