রাবির হল বন্ধে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ
শীতকালীন অবকাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলো আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে হল বন্ধের এ নির্দেশে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী, প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা।
পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর শিউলি শামিম শান্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৩১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে। ৭ জানুয়ারি সকাল ৯টায় হলসমূহ খুলে দেয়া হবে। এছাড়াও ১ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত হলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটিতে থাকবেন। তবে ৮ জানুয়ারি বিসিএস পরীক্ষা থাকায় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ৭ জানুয়ারি হল খুলে দেয়া হবে।
শীতকালীন অবকাশে ১ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার হওয়ায় পরের দিন থেকে ক্লাস-পরীক্ষা পুনরায় চালু হবে। আর প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এদিকে, ছুটিতে আবাসিক হলগুলো বন্ধ না করার দাবি জানিয়েছে, রাবি ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট, প্রগতিশীল ছাত্রজোট। শনিবার পৃথক পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান তারা।
ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালেদ হাসান বিপ্লব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে বিসিএসসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করতে পারে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো রকম সহযোগিতার পরিবর্তে শীতকালীন ছুটির অজুহাতে হল খালি করে পরীক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ছুটি চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে হলে অবস্থান করবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এছাড়া হল খোলা রাখার দাবিতে প্রত্যেক হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষরও গ্রহণ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত হল বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিং-এ নেয়া হয়েছে তার প্রতিবাদ জানায়।
এছাড়া হল খোলা রাখার দাবিতে আগামীকাল রোববার বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সোহেল রানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত ছাত্রবান্ধব হিসেবে মনে করেন।
রাশেদ রিন্টু/এআরএ/আরআইপি