কৃতজ্ঞতা ৫ লাখ বন্ধুর কাছে
২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর। বিজয়ের মাসের এ দিনেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাখো বন্ধুর পরিবার হয় জনপ্রিয়তার মাত্রায় দ্রুত এগিয়ে চলা জাগোনিউজ২৪.কম। এরপর একটি বছর পেরিয়ে গেছে। চলছে সেই বিজয়ের মাস। এরই মধ্যে ৫ লাখ বন্ধু পেয়েছে জাগো নিউজ।
সত্যিই এই বিজয়ের মাসে আমরা অভিভূত। এই খুশির দিনে নতুন পুরনো সব বন্ধুদের জানাই কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাই, আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন বলে। আমরা আপ্লুত।
পাঠক এইতো সেদিন, গত বছরের নভেম্বর মাসেও আমরা ছিলাম ৫০ হাজার বন্ধুর ছোট পরিবার। সেই থেকে আজ বন্ধুর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ।
নতুন সাড়ে চার লাখ বন্ধু পেয়েছি আমরা। আর জাগো নিউজ পরিবারও ছোট থেকে বড় হচ্ছে। বাড়ছে কর্মযজ্ঞ। আরো বেশি প্রতিশ্রুতির পূরণের নিরন্তর চেষ্টার পথে চলছি আমরা। আমাদের সব চেষ্টাতো পাঠক আর বন্ধুদের জন্যই। পাঠক সত্যিই, বন্ধুদের এই ভালোবাসা ও আস্থা আমাদের প্রতিটি সংবাদকর্মীর দায়িত্বকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাড়ছে বন্ধুর পরিবার। বন্ধুদের প্রত্যাশা। নানা প্রান্তের বন্ধুদের প্রত্যাশা ও চাহিদায় ভিন্নতা রয়েছে। সদ্য হাঁটতে শেখা শিশু হিসেবে আমরা সব প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি না। আমাদের ক্রটি আছে। সীমাবদ্ধতা আছে।
বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে অনেক এগিয়ে গেছি আমরা। রাজনৈতিক সংকট আর সীমাবদ্ধতা আমাদের পিছিয়ে ফেলতে পারেনি। এই দেখুন, গত এক দশক আমাদের দেশজ উৎপাদন-জিডিপি প্রবৃদ্ধিও গড় ৬ শতাংশের উপরে। রফতানি বাড়ছে। আমরা ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। সেটিও অর্জন অসম্ভব নয়। সেবা খাতে প্রসার ঘটেছে। প্রবাসী আয় বাড়ছে, রিজার্ভ বাড়ছে। অর্থনীতির সূচকগুলোতে বেশ সফলতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন তাঁর নিজের দেশ ভারতের তুলনায় সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের এই সাফল্যের কথা বারবার লিখেছেন। তিনি তাঁর সর্বশেষ প্রকাশিত ‘অ্যান আনসারটেইন গেন্ডারি : ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইটস কনট্রাডিকশনস’ বইয়ে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে আলাদা একটি অধ্যায়ও রেখেছেন।
বাংলাদেশকে এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে নতুন করে উন্নয়নের পরীক্ষাগার হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঠিক আমাদের সামনেও কঠিন পরীক্ষা। বাংলাদেশের অনেক কিছুই তরুণরা করেছে। আমরাও পারবো। আপনাকে আপডেট রাখতে কাজ করছে এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী সংবাদকর্মী।
সব সময়ই আমাদের চেষ্টা, একটি ভালো অনলাইন হয়ে ওঠার। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা, পেশাদারির দক্ষতা, নিরপেক্ষতা আর দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধ যেন পথ বাতলে দিবে আমাদের আগামীর পথচলার। খারাপ খবর গণমাধ্যমের জন্য ভালো সংবাদ, তা আমরা জানি। তবে উন্নয়ন সাংবাদিকতার সুন্দর চর্চা আমাদের থাকবে পাঠকের জন্য।
আমরা বিশ্বাস করি, বন্ধুরা আমাদের শক্তি। আপনারা থাকলেই আমরা সাহস নিয়ে লিখে যেতে পারবো। নীতি ও আদর্শ দিয়ে সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখতে পারব। দায়বোধ থেকে সরে যাবো না আমরা।
এসএ/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি