ম্যানসিটির দুঃস্বপ্ন বাড়িয়ে দিল আর্সেনাল


প্রকাশিত: ০৫:৫৩ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

বড় দিনের আগে উৎসবের ভালোই একটা উপলক্ষ পেয়ে গেলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার এবং তার শিষ্যরা। এমিরেটস স্টেডিয়ামে লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির মত ফেভারিট দলকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে আর্সেনাল। এই জয়ের ফলে প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষে থাকা লেস্টার সিটির পিছুতাড়া ভালোভাবেই করতে পারছে আর্সেনাল। ১৭ ম্যাচ শেষে লেস্টারের পয়েন্ট ৩৮ আর আর্সেনালের পয়েন্ট ৩৬। পরাজিত ম্যানসিটি ৩২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তৃতীয় স্থানে।

ম্যাচের শুরুতেই কিন্তু আর্সেনালকে চেপে ধরেছিল ম্যানসিটি। কিন্তু সেই চাপ সামলে প্রথমার্ধেই ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনির শিষ্যদের পেছনে ফেলে দেয় গানাররা। থিও ওয়ালকট আর অলিভিয়ের জিরুডের গোলের পর এমিরেটস স্টেডিয়ামের প্রায় ৬০ হাজার দর্শক তখন গগনবিদারী চিৎকার, কানে তালা লাগিয়ে দিচ্ছিল যেন ম্যানসিটি ফুটবলারদের। শেষ দিকে এসে ইয়াইয়া তোরে একটি গোল করলেও ম্যানসিটির পরাজয় ঠেকাতে পারেনি।

গত জানুয়ারিতেই ম্যানসিটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল আর্সেনাল। তখনই ওয়েঙ্গার বলেছিলেন, তার ছেলেরা এখন বড় দলগুলোকে হারানোর ক্ষমতা রাখে এবং একই সঙ্গে শিরোপা জয়েরও সামর্থ্য রাখে। ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ওই জয়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কিছুদিন আগে বায়ার্ন মিউনিখকে হারানোর পর আর্সেনালকে সত্যি সত্যি জায়ান্ট হিসেবেই বিবেচনা করতে শুরু করেছে সবাই। তারওপর, প্রিমিয়ার লিগে তারা রয়েছে এখন পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। লেস্টার সিটিকে ছিটকে দিয়ে শীর্ষে উঠে আসা তাদের পক্ষে কঠিন কিছু নয়।

আর্সেনালের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগেই মানসিটি সমর্থকদের জন্য সুখবর ছিল গোড়ালির ইনজুরির থেকে দলে ফিরেছেন সার্জিও আগুয়েরো। অপরদিকে ওয়েঙ্গার তার দলে রাখতে পারেননি আলেক্সিজ সানচেজকে। যে কারণে শুরুতে কিছু মন্থর ছিল আর্সেনালের গতি। যে সুযোগে গানারদের রক্ষণভাগে দারুন চাপ সৃষ্টি করেন সিটির কেভিন ডি ব্রুইন। পিটার চেক দৃঢ়তার সঙ্গে না ফেরালে বিপদেই পড়তে হতো স্বাগতিকদের। শুধু তাই নয়, ডি ব্রুইন বেশ কয়েকটি দারুন সুযোগ মিস করেন।

খেলার ৩৩ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় আর্সেনাল। মেসুত ওজিলের দারুন এক ক্রস থেকে ডান পায়ের শটে ম্যানসিটি গোলরক্ষক জো হার্টকে পরাস্ত করেন থিও ওয়ালকট। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে, ইনজুরি টাইমে আর্সেনালকে আরও একবার এগিয়ে দেন অলিভার জিরুড। এই গোলেরও যোগানদাতা মেসুত ওজিল। তার পাস থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের শটে গোল করেন জিরুড।

দ্বিতীয়ার্ধে আগুয়েরো, জোয়েল ক্যাম্পবেল কিংবা রাহিম স্টার্লিংরা বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করেছিল; কিন্তু কোন সুযোগই কাজে লাগেনি আর্সেনাল ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তার কারণে। শেষ পর্যন্ত ৮২ মিনিটে সফল হন ইয়াইয়া তোরে। ব্যাকারি সাগনার পাস থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের শটে আর্সেনালের জালে বল জড়ান তোরে। তবে তার এই গোল ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু। পরাজয় ঠেকাতে পারেনি।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।