দেশের মানুষ কষ্টে আছে: মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৬ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
ফাইল ছবি

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বাংলাদেশে এখন সুখী মানুষ দেখা যায় না। দেশের মানুষ কষ্টে আছে। মানুষ বাসে উঠতে গিয়ে কষ্ট পায়, চাকরি করতে গিয়ে কষ্ট পায়, বাজার করতে গিয়ে কষ্ট পায়, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রদের বেতন দিতে গিয়ে কষ্ট পায়।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাড্ডায় পাঠাও চালকের বাইকে পোড়ানোর ঘটনায় নাগরিক যুব ঐক্যের আয়োজিত ‘প্রতিবাদী অবস্থান’ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাইক পোড়ানোর ঘটনা প্রসঙ্গে মান্না বলেন, পুলিশ বাইক চালককে ধরে মামলা দিতে চেয়েছে। ধরার সঙ্গে সঙ্গে রাগে-দুঃখে তিনি তার গাড়িতে আগুন দিয়েছেন। সবচাইতে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে তারপর। ঘটনার পর পুলিশ তাকে আটক করেছে এবং ১৮ ঘণ্টা (১২ ঘণ্টা) তাকে পুলিশের কাছে রাখা হয়েছে। আমি জানতে চাই, এই সময় পুলিশ তার কাছে কী জানতে চেয়েছে?

তিনি বলেন, শহরে যত ট্যাক্সি চলে, সেসব ট্যাক্সি পার্কিংয়ের কোনো ব্যবস্থা করা হয় নাই। সেই পরিস্থিতি এই বাইক চালক বাড্ডায় একটা ইউটার্ন নিয়েছেন। ইউটার্নে কোনো ভুল ছিল? ইউটার্ন নিয়ে বায়ে তার গাড়ি রেখেছেন, তখন পুলিশ এসে তাকে ধরেছে। আমি শুধু বলতে চাই, নিয়মটা কী? উনি যদি একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকতে চান, এক গ্লাস পানি খেতে চান, তাহলে তিনি তার বাইক রাখবেন কই? সরকার কোনো ব্যবস্থা করেছে?

jagonews24

এসময় তিনি চট্টগ্রামে নালায় পড়ে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, আসলে বাংলাদেশ নিজেই একটা ঢাকনাছাড়া ম্যানহোল, বাংলাদেশের কোনো ঢাকনা নাই, শুধু ম্যানহোল আছে। মানুষ ডুবে ডুবে মরছে। চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী হাঁটতে গিয়ে ম্যানহোলে পড়ে গেলেন। ৭০ ফুট নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হলো। ওই ম্যানহোলে কিছুদিন আগে একজন মানুষ পড়ে গেলো। তার মরদেহ পাওয়া যায়নি, কীভাবে সেই ম্যানহোল এখন পর্যন্ত ঢাকনাবিহীন রয়ে গেলো তা জানতে চাই।

মান্না বলেন, ১৮ মাস সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এই ১৮ মাসের বেতন নিয়েছেন কেন? এখন সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিচ্ছেন না কেন? লাইব্রেরি যদি খুলতে পারেন, হল খোলেন না কেন? হল যদি খোলা যায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যায় না কেন? আস্তে আস্তে খুলে দেখছেন বিপদ আছে কিনা, তাই তো? যদি বিপদ দেখেন তাহলে বলবেন, ইনফেকশন বেড়ে গেছে।’

সরকার করোনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিদিন কতজন লোক আক্রান্ত হলো, কতজন লোকের মৃত্যু হলো- সে ব্যাপারে সরকার নিয়মিত মিথ্যা কথা বলছে। তাদের সব তথ্য বানানো। এইভাবে পুরো জাতির সঙ্গে ভাওতাবাজী করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে তারা।

এএএম/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।