বাড়িভাড়া কমিশন গঠনসহ ৭ দফা দাবি
বাড়িভাড়া বৃদ্ধি থেকে ভাড়াটিয়াদের রক্ষার জন্য কমিশন গঠনসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আবাসিক ভাড়াটিয়া অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
বাড়িভাড়া আইন ১৯৯১ চালু হলেও তা কারর্যকর না হওয়ায় বাড়িওয়ালারা তাদের ইচ্ছামত বাড়ির ভাড়া বৃদ্ধি করে অভিযোগ করে মানববন্ধনে বক্তারা ৭ দফা সুপারিশ উত্থাপন করেন।
সুপারিশগুলো হলো :
এক. সংবধিান ঘোষিত সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদসমূহের আলোকে একটি জনবান্ধব ভাড়াটিয়া নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
দুই. হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক, গণমাধ্যমের সিনিয়র প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও আবাসিক ভাড়াটিয়া অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত বাড়িভাড়া কমিশন গঠন এবং ওই কমিশন কর্তৃক আবাসিক ভাড়াটিয়া চুক্তি ফরম প্রণয়ন করতে হবে।
তিন. সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভায় সংরক্ষিত ভাড়াটিয়া কমিশন প্রণীত রেভিনিউ স্টাম্পযুক্ত ভাড়াটিয়া চুক্তি ফরমে বাড়িভাড়া চুক্তিপত্র সম্পাদন হতে হবে।
চার. বাড়িভাড়া চুক্তির মেয়াদ নূন্যতম ২ বছর এবং ভাড়া বৃদ্ধির হার ৫% করাসহ বাড়িওয়ালা কর্তৃক তার আবাসিক ভাড়াটিয়াকে বাধ্যতামূলক ভাড়ার রশিদ প্রদান করতে হবে।
পাঁচ. বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১ সংশোধনপূর্বক যৌক্তিক ও ভাড়াটিয়া বান্ধব ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন চাই।
ছয়. কর্মজীবী মানুষ তার মাসিক আয়ের অনধিক ২৫% ভাগ অর্থের বিনিময়ে যাতে আবাসন সুবিধা পেতে পারে তার ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে করতে হবে।
সাত. বাড়িভাড়া গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক খাত হিসাবে গ্রহণ এবং বাড়িওয়ালা ব্যবসায়ীদের বাধ্যতামূলক ট্রেড লাইসেন্স’র আওতায় আনতে হবে। এবং ১০ শতাংশ রাজস্ব খাতে প্রদানের আইন প্রনয়ন করতে হবে।
মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক তুষার রেহমানসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এসকেডি/আরআইপি