ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা
সকাল সাড়ে ১১টা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে শিশু বিভাগের ভিতরে পাঁচ বছরের কন্যা শিশু জান্নাতকে নিয়ে অপেক্ষা করছেন রাজধানীর কামরাঙ্গিরচরের ব্যাটারিঘাট এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ মলি। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় যাবত শিশু জান্নাত জ্বরে আক্রান্ত। স্থানীয় ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে খাইয়েছেন কিন্তু সুস্থ হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার সকালেই ঢামেক হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে নিয়ে এসেছেন। লম্বা সিরিয়াল থাকায় ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি।
তার মতোই ১৫ দিনের নবজাতক শিশুকে কোলে নিয়ে অপেক্ষা করছেন কেরানিগঞ্জের আবদুল্লাহপুরের গৃহবধূ ঝুমা রানী। গত ১০ দিন যাবত কোলের শিশুটির হাঁচি কাশি লেগেই আছে। এরকম শুধু এক দুজনই নন, তাদের মতো অনেকেই অসুস্থ শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে এসেছেন। কারণ ঠান্ডাজনিত রোগীব্যাধি।
হাসপাতালের টিকেট কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই শতাধিক টিকেট বিক্রি হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩০ জন ছেলে ও ৯৭ জন মেয়ে শিশু।
শিশু বর্হিঃবিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানালেন, হঠাৎ করে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ডায়রিয়া, জ্বর, হাঁচি কাশি, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে অর্থাৎ হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বাড়ায় শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু ঢামেক হাসপাতালেই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে হঠাৎ করে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের উপ পরিচালক হোসেন শহীদ কামরুল আলম জানান, শিশু হাসপাতালের আউটডোরে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ রোগী আসছে। তাদের মধ্যে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যাই বেশি। মূলত শীত পড়তে শুরু করায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
এমইউ/আরএস