‘মির্জা ফখরুলের উঁচু গলায় কথা প্রমাণ করে দেশে বাকস্বাধীনতা আছে’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উঁচু গলায় কথা বলা প্রমাণ করে যে দেশে বাকস্বাধীনতা রয়েছে।
‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই প্রধান কাজ’ ফখরুলের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যে গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছিল, সেটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ’৯১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না, যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে তখনকার আধা-সামরিক সরকার, এরশাদ সরকারে পতন না হতো। খালেদা জিয়া ক্ষমতাহীন প্রধানমন্ত্রী থাকতেন। যদি সংসদে বিল পাস করা না হতো যে রাষ্ট্রপতির শাসন থেকে সংসদীয় পদ্ধতির শাসনের বিল। আওয়ামী লীগ সহযোগিতা করেছিল বিধায়, আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সেটা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো), টিভি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর, ক্যাবল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় তিনি বলেন, দেশে যদি গণতন্ত্র হরণ করা হয় সেটা জিয়াউর রহমান করেছেন। জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। পরে দেশে তিনি সামরিক তন্ত্র চালু করেছেন, এবং তৎপরিবর্তিত মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিলেন। দেশে যদি গণতন্ত্র হরণ করে থাকে সেটি জিয়াউর রহমান করেছেন। জিয়াউর রহমানের দল করে তারা যখন এই কথা বলেন তারা কীভাবে সংসদে আছেন। দেশের সংসদ কীভাবে আছে। ‘গণতন্ত্র নাই, গণতন্ত্র নাই’ সকাল-বিকেল তিনবেলা কীভাবে বলে যদি গণতন্ত্র না থাকে। মির্জা ফখরুল যে উঁচু গলায় কথা বলেন এবং সমালোচনা করেন তাতেই প্রমাণিত হচ্ছে যে দেশে গণতন্ত্র আছে এবং বাকস্বাধীনতাও আছে।
জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত থাকবে বলে মির্জা ফখরুলের এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম সব সময় জড়িত থাকবে। অ্যাজ অ্যা ট্রেইটর, অ্যাজ অ্যা ভিট্রেয়ার, অ্যান্ড অ্যাজ অ্যা কিলার। কারণ যে পরিমাণ বিশ্বাসঘাতকতা, যে পরিমাণ হঠকারিতা, যে পরিমাণ খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান করেছেন এটি বাদ দিয়ে তো বাংলাদেশের ইতিহাস হবে না। মির্জা ফখরুল সাহেব কথাটা সেভাবে বললে সঠিক হতো।
আইএইচআর/জেডএইচ/জিকেএস