শোষণমুক্ত সমাজ গঠনই ছিল মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য


প্রকাশিত: ০৯:৩৭ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং শ্রেণি বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনই মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
 
রওশন বলেন, বিজয়ের চার দশক পার হলেও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য পরিপূর্ণরূপে এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। দলমত নির্বিশেষে তা বাস্তবায়নে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিরোধীদলীয় নেতা তার বাণীতে বলেন, পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতির বীরত্বের আত্মপ্রকাশ এবং এ দেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম গৌরব ও অহংকারের দিন ১৬ ডিসেম্বর।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, নিপীড়ন, দুঃশাসনের কুহেলিকা ভেদ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বাঙালি জাতি প্রকৃতঅর্থে স্বাধীনতার স্বাদ অনুভব করেছিল। এ দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনী এবং এদেশীয় তাদের দোসরদের পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। এর ফলে বিশ্বের মানচিত্রে একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। বাঙালি জাতি যত দিন বেঁচে থাকবে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গৌরব করবে, অহংকার করবে।

দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম ত্যাগ ও বীরত্ব গাঁথা চিরদিন স্বর্ণাঅক্ষরে লেখা থাকবে।
 
এইচএস/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।