জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান রওশনের


প্রকাশিত: ১১:১৩ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা (জিএসপি) অবিলম্বে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। সোমবার সকালে বিরোধীদলীয় নেতার গুলশানের বাসভবনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ. শ্যানন সাক্ষাত করলে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র যে ১৬টি শর্ত দিয়েছিল, তার প্রায় সবগুলোই বাংলাদেশ পূরণ করেছে। আর জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া বাংলাদেশের এখন ন্যায্য দাবি। তিনি দ্রুত বাংলাদেশে জিএসপি ফিরিয়ে দিতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সাক্ষাতে বিরোধীদলীয় নেতা আরো বলেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। আর এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করে আরো এগিয়ে যেতে চায়। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু প্রসঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর জলবায়ুর পরির্বতনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর ক্ষতির হাত থেকে বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রক্ষা করার জন্য দরকার সম্প্রতি প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনের ঐতিহাসিক চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। বাংলাদেশ নিঃসরণ কার্বন ও জলবায়ু সহনশীল পর্যায়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে থমাস শ্যানন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে জিএসপি সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিক। এছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতা আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

সাক্ষাৎকালে আরো উপস্থিত ছিলেন- ফখরুল ইমাম এমপি, বিরোধীদলীয় হুইপ সেলিম উদ্দীন, রওশন আরা মান্নান এমপি, দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনপ্রিত সিং আনন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট প্রমুখ।

এইচএস/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।