বরিশালের সংগ্রহ ১৩৫ রান


প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

শুরুতে ক্রিস গেইল আর সাব্বির রহমান যেভাবে ঝড় তুলেছিলেন, তাতে করে কেউ কেউ ভেবে নিয়েছিল, আজ বুঝি এই আসরের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস দেখা যাবে! কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমানের এক ডেলিভারিতেই যেন সে স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো বরিশাল বুলস সমর্থকদের। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানেই থেমে যেতে হলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দলকে।
 
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রনি তালুকদারকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বরিশাল; কিন্তু তাদের দুশ্চিন্তার কারণ ছিল না, যতক্ষণ না ক্রিজে ছিলেন গেইল। শুরু থেকেই মারমুখি এই বাঁ-হাতি। ১২ বল খেলেই তুলে ফেলেছিলেন ৩১ রান। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা দুটি।

এরপরই গেইলকে একপাশে রেখে ঝড় তুলতে শুরু করেন সাব্বির রহমান। গেইলকে আর স্ট্রাইকই দিচ্ছিলেন না তিনি। সাব্বির যেন গেইলের চেয়েও বেশি মারমুখি। একেরপর এক বাউন্ডারি আর ছক্কায় ঢাকার বোলারদের দিশেহারা করে তোলেন তিনি। ৩৯ বল খেলে তিনি তুলে ফেলেন ৪১ রান।

তবে, এর আগে হঠাৎকরে কেন যেন নিষ্প্রভ হয়ে গেলেন গেইল। ১২ বলে ৩০ করার পর আর রানই তুলতে পারছিলেন না তিনি। শেষ ৭ বলে করেন মাত্র ১ রান। অবশেষে মুস্তাফিজের কাছে ধরাশায়ী হলেন গেইল। বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন তিনি। ১৯ বলে ৩১ রান করে।

গেইল ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাব্বির রহমানও। ১৩তম ওভারে নাবিল সামাদের বলে একেবারে বাউন্ডারি লাইনে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। তার আগে ৩৯ কলে করেছেন ৪১ রান। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে মেরেছিলেন ৩টি ছক্কা।

অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বেশ হিসেবি ব্যাটিং করলেও দ্রুত রান তুলে দিয়ে যান। মূলতঃ তার ৩৩ বলে ৩৭ রানের ওপর ভর করেই ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয় বরিশাল। ৪টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। ১০ রানে আউট হন মেহেদি মারূফ।

ঢাকার বোলার মুস্তাফিজ নেন ২ উইকেট। তিনি রান দেন ২১টি। ১টি করে উইকেট নেন নাবিল সামাদ এবং নাসির হোসেন।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।