রাজাকারের দল বিএনপি : জয় (ভিডিও)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিএনপিকে রাজাকারের দল হিসেবে অভিহিত করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে সুশিন্তা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও সুশাসন’ র্শীষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
জয় প্রশ্ন করে বলেন, যারা রাজাকারের সঙ্গে রাজনীতি করে তারা কি রাজাকার নয়? অবশ্যই। সত্যি কথা হচ্ছে বিএনপি রাজাকারদের দল। তারা (বিএনপি) যদি প্রমান করতে চায় তারা রাজাকারের দল না, তাহলে রাজাকারের দলের (জামায়াত) সাথে জোট ছেড়ে আসুক। তাদের এই জোট না ভাঙ্গা পর্যন্ত কোন দিন বিশ্বাস করা যাবে না, বলা যাবে না যে তারা রাজাকার নয়।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে এই রাজাকারদের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এনেছেন। এটা তারা (বিএনপি) কোন মতেই অস্বীকার করতে পারে না।
সেমিনারে জয় বলেন, আজকে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা অপপ্রচার, মিথ্যাচার চলছে। ৭৫ এর পর থেকেই এটা চলছে। এটা বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। একে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। স্কুলের বইকে পর্যন্ত বিকৃত করা হয়েছে। এটা করা হচ্ছে, প্রকৃত ও সত্য ইতিহাসকে চাপা দেওয়ার জন্য। এটা অনেক বড় পরিকল্পনার অংশ। এটা তারা করেছে, যারা মিথ্যা দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। এটা কারা করেছে? কেন করেছে? সেটা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী-তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ৭৫ এর পর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করা যেত না। এখন দীর্ঘদিন পর আওয়ামী ক্ষমতায় এসেছে। এখন আমরা আলোচনা করতে পারি।
সজীব ওয়াজেদ জয় কারো নাম উল্লেখ না করেই বলেন, একজন নানা কথা বলছে। মানুষ বলছে, এই লোক কি পাগল হয়ে গিয়েছে? কেন এমন কথা বলছে? আসলে তিনি পাগল নয়। হিটলারের প্রচারমন্ত্রী ছিল গোয়েবলস। তিনি হিটলারের সব কাজের প্রচার করতেন। গোয়েবলস বিশ্বাস করতেন, একটা মিথ্যা যদি একনাগাড়ে বলতে থাক তবে তা একদিন সত্য হয়ে যাবে। এখানেও এখন তাই হচ্ছে। এটাই তাদের পথ। কিন্তু এই মিথ্যাচারের মোকাবেলা করতে হবে, আমাদের লাজুক হলে চলবে না, যোগ করেন জয়।
হোটেল রেডিসন সুচিন্তা ফাউন্ডেশন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা: গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সুশাসন; শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জমান, শিল্পী হাসেম খান, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ প্রমুখ।