শেষ হলো বিপিও সামিট
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিট ২০১৫। বৃহস্পতিবার রাতে শেষ হয় বিপিও সামিট।সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
জানা গেছে, দুই দিনের এ সম্মেলনে মোট ১২ টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সামিটে অংশ নেয় ১০ হাজারেরও বেশি লোক।
সামিটের সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ-তরুণী বিপিও খাতে আশীর্বাদ বয়ে আনতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিপিও খাত আশাব্যঞ্জক অবদান রাখার পাশাপাশি আগামী ৬ বছরে এই খাতে নতুন দুই লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরকার কাজ করছে। ২০২১ সালের মধ্যেই এই খাত ন্যূনতম ১ বিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষমতা অর্জন করবে।
প্রধান অতিথি মোস্তফা কামাল বলেন, প্রযুক্তি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এই আশীর্বাদকে কাজে লাগিয়ে তরুণদের উৎসাহিত ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আইসিটি মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় কাজ করছে। সফলতা আসবে তরুণদের হাত ধরে।’ আইসিটি খাতে দেশের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। বিপিও নতুন খাত হলেও ইতোমধ্যে ২৫০০ তরুণ-তরুণী নিজেদের কর্মদক্ষতায় এগিয়ে যাচ্ছে। আইসিটি মন্ত্রণালয় তরুণদের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে এমন সেমিনারের আয়োজন করেছিল বলেও জানান পলক।
সম্মেলনের সহযোগী হিসেবে ছিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি)। সম্মেলনের আয়োজন করেছে কলসেন্টার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বাক্য)।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
উল্লেখ্য, আউটসোর্সিং খাতে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘প্রথম বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিট ২০১৫ শুরু হয় ৯ ডিসেম্বর।
আরএম/এএইচ/আরআইপি