ছিনতাইকালে পুলিশ সদস্য আটক : অতঃপর গণধোলাই


প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রতীকী ছবি

সিলেট নগরীর বারুতখানা এলাকায় নারীর টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় শরীফ রানা নামে এক পুলিশ সদস্যকে ধরে গণধোলাই দিয়েছেন স্থানীয় জনতা। তিনি সিলেট জেলা পুলিশের মোটরযান সেকশনের কনস্টেবল। তার আইডি নম্বর ৪৯৫।

সোমবার বেলা দেড়টার দিকে বারুতখানা মোড়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের শিকার মহিলার নাম তামান্না আক্তার কলি। তিনি নগরীর ধোপাদিঘীরপাড় আল ফালাহ্ টাওয়ারের বাসিন্দা আনসার আলীর মেয়ে।

কোতয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহাম্মদ জাগো নিউজকে জানান, বেলা দেড়টার দিকে বারুতখানা পয়েন্টে এক নারীর কাছ থেকে ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই যুবককে আটক করে জনতা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ছিনতাইকারীকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় নেয়ার পর নিজেকে পুলিশ সদস্য বলে দাবি করে তিনি। শরীফ রানা জেলা পুলিশের মোটরযান সেকশনের কনস্টেবল।

ছিনতাইয়ের শিকার তামান্না ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে তামান্না আক্তার কলি দুই লাখ টাকা নিয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে বারুতখানাস্থ ডাচ বাংলা ব্যাংকে আসেন। ব্যাংক থেকে আরো ছয় লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে পার্শ্ববর্তী ব্রাক ব্যাংকে জমা করার উদ্দেশ্য রওনা দেন।

এ সময় বারুতখানাস্থ পয়েন্টে এসে পৌঁছলে একটি মোটরসাইকেল এসে দুইজন তার গতিরোধ করে। তার সঙ্গে ব্যাগে থাকা দেই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তার আর্ত্মচিৎকারে রিকশা থেকে তার ভাই ও অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারী বারুতখানার দিকে দৌঁড় দেয়। পালানোর সময় আশেপাশের নিরাপত্তা কর্মীরা এবং স্থানীয় জনতা তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জাগো নিউজকে জানান, বারুতখানায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। তাকে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রানার সহযোগীদের পরিচয় জেনে তাদের আটক ও ছিনিয়ে নেয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।