রোজিনার ঘটনায় ক্ষোভ ঝাড়লেন আ.লীগ নেত্রী মারুফা আক্তার পপি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ১৮ মে ২০২১
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি। বহুল আলোচিত এ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মে) ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি।
মারুফা আক্তার পপি লেখেন, ‘গতকাল থেকে সকলের মুখে মুখে রোজিনা ইসলাম। তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন মহামান্য আদালত। রোজিনা আপা এখন আদালতের বিষয়, সকলের মতো আমিও তার মুক্তি চাই।’
তিনি বলেন, ‘রোজিনা আপার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা অনেকটাই পারিবারিক। মিঠু ভাই ছাত্রলীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি। ছাত্রলীগ ছাড়ার পর অনেকের সঙ্গেই দেখা হয় না, কিন্তু মিঠু ভাইয়ের সঙ্গে দেখাটা প্রতিদিনের রুটিন। দুজনে দুজনের মেয়েকে স্কুলে দিয়ে একসঙ্গে বসে চা খাই, আড্ডা দেই, এক কথায় মিঠু ভাই আমার একজন পছন্দের ব্যক্তিত্ব। সেই সুবাদে রোজিনা আপাও আমার অনেক কাছে চলে এসেছে।’
পপি লেখেন, ‘রোজিনা আপার উপর হামলার এই ছবিটা দেখে আমার মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছে। অনেকেই বলেছেন, তাকে হেনস্তা করা হয়েছে-এটা কি শুধুই হেনস্তা? যে আইন-আদালত রোজিনা আপার জামিন নামঞ্জুর করলেন, আইনের সেই নিরপেক্ষ চোখের সহজ ভাষায় এটা হতে পারে এটেম টু মার্ডার। হামলাকারী এই ভদ্রলোক বা ভদ্র মহিলার ব্যাপারে আইন-আদালত কি আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেবেন?’
তিনি বলেন, ‘একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে মনে করি, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীরা হলেন প্রজাতন্ত্রের তথা জনগণের সেবক। একজন অফিসারের এমন আচরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটা সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকা দরকার।’
ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পপি আরও লেখেন, ‘মুখ ঢেকে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের গলাটিপে ধরার এই ছবিটা কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? ক্যামেরা থেকে আড়াল করতে চাইলে সবার আগে তো স্বাভাবিক নিয়মেই গলা থেকে তার হাত সরে যাবার কথা! তা না করে নিখুঁতভাবে ওড়নায় ঢেকে দিয়েছেন তার হিংস্র মুখ।’
তিনি বলেন, ‘দিনশেষে আমার পরিচয়-আমি একজন সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী। সহযোদ্ধার হৃদয়ের রক্তক্ষরণে আমার হৃদয়েও রক্ত ঝরে। মিঠু ভাইকে সান্ত্বনা দেয়ার মতো কোনো ভাষাই আজ আমার কাছে নেই। শুধু ক্ষমা চাওয়া ছাড়া।’
‘পরিশেষে বলব, সরকারকে বাঁশ দেয়ার জন্য এমন দু-একটা মন্ত্রণালয় আর গুটিকয়েক মন্ত্রী, সচিব, কর্মকর্তাই যথেষ্ট! অতএব সাধু সাবধান।’
এসইউজে/জেডএইচ/জিকেএস